Thursday 27 December 2012

আমার প্রিয় কলকাতা .......

বয়সটা অনেক বেড়ে গেল, আমার শহরটাকে আমি অনেক দিন ধরে দেখছি। শহরটা আমার কাছথেকে অনেক কিছু নিয়েছে যেমন আবার তার থেকে অনেক কিছু ভালো কিছু দিয়েছে,আমাকে চলতে শিখিয়েছে,আমাকে বাঁচতে শিখিয়েছে, আমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছে......।।
তাই হটাৎ করে আমার শহরটাকে নিয়ে লিখতে বসলাম...।

হটাৎ করে চলার শুরু,
হটাৎ করে জলকাদা
হটাৎ করে ভালোবাসা ,
আমার কলকাতা।

হটাৎ করে বৃষ্টি ভেজা ,
হটাৎ করে সানগ্লাস,
হটাৎ করে সূর্য ডোবা,
সোনা রোদে ফাস ক্লাস ।

হটাৎ করে চোখে জল,
হটাৎ করে traffic জ্যাম,
হটাৎ করে বইয়ের পাতায় ,
অন্ধকারে sreet lamp,

হটাৎ করে পালটে যাওয়া ,
হটাৎ করে ছাড়াছাড়ি।
হটাৎ করে উঁচু উঁচু ,
আকাশ ছোঁয়া বাক্স বাড়ি।
হটাৎ করে হোঁচট খাওয়া,
হটাৎ করে মনে পরা...।

আমার প্রিয় কলকাতা

Wednesday 5 December 2012

যদি পারো দু:খ দাও – শক্তি চট্টোপাধ্যায়


যদি পারো দু:খ দাও, আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি
দাও দু:খ, দু:খ দাও – আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি।
তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো, দরজা হাট-খোলা।

আকাশের নিচে, ঘরে , শিমূলের সোহাগে স্তম্ভিত
আমি পদপ্রান্ত থেকে সেই স্তম্ভ নিরীক্ষণ করি।
যেভাবে বৃক্ষের নিচে দাঁড়ায় পথিক, সেইভাবে

একা একা দেখি ঐ সুন্দরের সংশ্লিষ্ট পতাকা।

ভালো হোক মন্দ হোক যায় মেঘ আকাশে ছড়িয়ে
আমাকে জড়িয়ে ধরে হাওয়া তার বন্ধনে বাহুর।
বুকে রাখে, মুখে রাখে – ‘না রাখিও সুখে প্রিয়সখি!
যদি পারো দু:খ দাও আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি
দাও দু:খ, দু:খ দাও – আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি।
ভালোবাসি ফুলে কাঁটা, ভালোবাসি, ভুলে মনস্তাপ -
ভালোবাসি শুধু কূলে বসে থাকা পাথরের মতো
নদীতে অনেক জল, ভালোবাসা, নম্রনীল জল -
ভয় করে।”

যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো? – শক্তি চট্টোপাধ্যায়


ভাবছি, ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো।

এতো কালো মেখেছি দু হাতে
এতোকাল ধরে!
কখনো তোমার ক’রে, তোমাকে ভাবিনি।

এখন খাদের পাশে রাত্তিরে দাঁড়ালে
চাঁদ ডাকে : আয় আয় আয়
এখন গঙ্গার তীরে ঘুমন্ত দাঁড়ালে
চিতাকাঠ ডাকে : আয় আয়

যেতে পারি
যে-কোন দিকেই আমি চলে যেতে পারি
কিন্তু, কেন যাবো?

সন্তানের মুখ ধরে একটি চুমো খাবো

যাবো
কিন্তু, এখনি যাবো না
একাকী যাবো না অসময়ে।।

দ্বিখন্ডিত – তসলিমা নাসরিন


সে তোমার বাবা,
আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার ভাই,
আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার বোন,
আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার মা,
আসলে সে তোমার কেউ নয় ।

তুমি একা

যে তোমাকে বন্ধু বলে, সেও তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।

তুমি যখন কাঁদো,
তোমার আঙুল
তোমার চোখের জল মুছে দেয়,
সেই আঙুলই তোমার আত্মীয়।

তুমি যখন হাঁটো,
তোমার পা
তুমি যখন কথা বলো,
তোমার জিভ
তুমি যখন হাসো,
তোমার আনন্দিত চোখই তোমার বন্ধু।

তুমি ছাড়া তোমার কেউ নেই
কোন প্রানী বা উদ্ভিদ নেই।

তবু এত যে বলো তুমি তোমার,
তুমিও কি আসলে তোমার ?

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে লেখা চিঠি – তসলিমা নাসরিন


প্রিয় রুদ্র,
প্রযত্নেঃ আকাশ,
তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুরে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে – করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে – হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি।

আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু’জন জন্মেছি দু’জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি।

আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ’য়ে শ’য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গারা খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতম করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো?

শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে … তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।

আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোত্স্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক’দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।

ইতি,
সকাল

পুনশ্চঃ আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি। কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো? নাকি আমি ভুল শুনি?

মেঘ বলতে আপত্তি কি ? – জয় গোস্বামী


মেঘ বলতে আপত্তি কি ? – জয় গোস্বামী


মেঘ বলতে আপত্তি কি ?
বেশ, বলতে পরি
ছাদের ওপোর মেঘ দাঁড়াতো
ফুলপিসিমার বাড়ি
গ্রীষ্ম ছুটি চলছে তখন
তখন মানে ? কবে ?
আমার যদি চোদ্দো, মেঘের ষোলো-সতেরো হবে
ছাদের থেকে হাতছানি দিতো
ক্যারাম খেলবি ? … আয় …
সারা দুপুর কাহাঁতক আর ক্যারম খেলা যায়
সেই জন্যেই জোচ্চুরি হয়
হ্যাঁ, জোচ্চুরি হতো
আমার যদি চোদ্দো, মেঘের পনেরো-ষোলো মত।

ঘুরিয়ে দিতে জানতো খেলা শক্ত ঘুঁটি পেলে
জায়গা মত সরিয়ে নিতো আঙ্গুল দিয়ে ঠেলে
শুধু আঙ্গুল ? … বোর্ডের উপর লম্বা ফ্রকের ঝুল
ঝপাং ফেলে ঘটিয়ে দিতো ঘুঁটির দিক ভুল
এই এখানে … না ওখানে ..
এই এইটা না ঐটা
ঝাঁপিয়ে পরে ছিনিয়ে নিলো ঘুঁটির বাক্সটা
ঘুঁটির ও সেই প্রথম মরন
প্রথম মরা মানে ?
বুঝবে শুধু তারাই … যারা ক্যারাম খেলা জানে।
চলেও গেলো কদিন পরে .. মেঘ যেমন যায়
কাঠফাটা রোদ দাঁড়িয়ে পড়ল মেঘের জায়গায়
খেলা শেখাও, খেলা শেখাও, হাপিত্যেস কাক
কলসিতে ঠোঁট ডুবিয়ে ছিলো, জল তো পুরে খাক
খাক হোয়া সেই কলশি আবার পরের বছর জলে …
ভরল কেমন তোমায় ? …
ধ্যাত্, সেসব কি কেউ বলে ? …
আত্মীয় হয় .. আত্মীয় হয় ? আত্মীয় না ছাই
সত্যি করে বল এবার, সব জানতে চাই
দু এক ক্লাস এর বয়স বেশি, গ্রীষ্ম ছুটি হলে
ঘুরেও গেছে কয়েক বছর, এই জানে সক্কলে
আজকে দগ্ধ গ্রীষ্ম আমার তোমায় বলতে পারি
মেঘ দেখতাম, ছাদের ঘরে, ফুলপিসিমার বাড়ি।

Udaan- poem


Chhoti-chhoti chhitrayi yaadein,
bichhi hui hain lamhon ki lawn par,
nange paer unpar chalte-chalte,
itni door chale aaye..
..ki ab bhool gaye hain,
joote kahan utaare the..

Aedi komal thi, jab aaye the,
thodi si naazuk hai abhi bhi,
aur nazuk hi rahegi,
in khatti-meethi yaadon ki shararat..
..jab tak inhe gudgudati rahe..

Sach, bhool gaye hain,
ki joote kahan utaare the,
par lagta hai,
ab unki zaroorat nahi...

Jab tak hai jaan ...poem


Teri aankhon ki namkeen mastiyan
Teri hansi ki beparwaah gustakhiyaan
Teri zulfon ki leharaati angdaiyaan
Nahi bhoolunga main
Jab tak hai jaan, jab tak hai jaan

Tera haath se haath chhodna
Tera saayon se rukh modna
Tera palat ke phir na dekhna
Nahin maaf karunga main
Jab tak hai jaan, jab tak hai jaan

Baarishon mein bedhadak tere naachne se
Baat baat pe bewajah tere roothne se
Chhoti chhoti teri bachkani badmashiyon se
Mohabbat karunga main
Jab tak hai jaan, jab tak hai jaan..

Tere jhoothe kasme vaadon se
Tere jalte sulagte khwabon se
Teri be-raham duaaon se
Nafrat karunga main
Jab tak hai jaan, jab tak hai jaan

— by Aditya Chopra

Piya tora kaisa abhimaan....gulzar poem


Kisi mausam ka jhonka tha 
jo is deewar par latki hui tasweer tirchi kar gaya hai

gaye sawan mein ye deewarein yun seeli nahin thi
na jane kyon is dafa inme seelan aa gayi hai,
dararein par gayi hain
aur seelan is tarah bahti hai jaise,
khushq rukhraron pe geele aanso chalte hain.

ye baarish gungunati thi isi chat ki munderon par
ye baarish gungunati thi isi chat ki munderon par
ye ghar ki khidkiyon ke kaanch par ungli se likh jaati thi sandese
girti rahti hai baithi hui ab band roshandano ke peeche.

dupehrein aisi lagti hain,
bina muhron ke khaali khaane rakhein hain
na koi khelne waala hai baazi
aur na koi chaal chalta hai

na din hota hai ab na raat hoti hai sabhi kutch ruk gaya hai
wo kya mausam ka jhonka tha
jo is deewar par latki hui tasweer tirchi kar gaya hai

There is a version in Hariharan's voice as well. That is haunting too. I liked the one in Shubha Mudgals voice better. It sounds more sad and just loved the effect it makes throughout the movie.

Hatz off to Gulzaar who can write such an awesome lyrics. Shubha Mudgal and Hariharan have sung too good as ever.

' Apne Nayan Se Neer Bahaaye
Apni Jamuna Khud Aap Hi Banaave.. 


Piya tora kaisa abhimaan....'