Friday 19 October 2012

সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা

লাল ফিতে সাদা মোজা সু স্কুলের ইউনিফর্ম
ন’টার সাইরেন সংকেত সিলেবাসে মনোযোগ কম
পড়া ফেলে এক ছুট ছুট্টে রাস্তার মোড়ে, দেখে
সাইরেন মিস করা দোকানীরা দেয় ঘড়িতে দম
এরপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া
স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া
এরপর বিষন্ন দিন বাজেনা মনোবীণ
অবসাদে ঘিরে থাকা সে দীর্ঘ দিন
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায়
রক থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোড়ায়
হিন্দি গানের কলি সদ্য শেখা গালাগালি
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময়
তখন উদাস মন ভোলে মনরঞ্জন
দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে চায়
তখন নীলাঞ্জনা প্রেমিকের কল্পনা
ওমনের গভীরতা জানতে চায়
যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে
তাকাতো সে অবহেলে দু’চোখ মেলে
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়
তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়
হাজার অনুষ্ঠান প্রভাত ফেরীর গান
মন দিন গুনে এই দিনে আশায়
রাত জেগে নাটকের মহরায় চঞ্চল
মন শুধু সে ক্ষনের প্রতিক্ষায়
রাত্রির আঙ্গিনায় যদি খোলা জানালায়
একবার একবার যদি সে দাড়ায়
বোঝেনি অবুঝ মন নীলাঞ্জনা তখন
নিজেতে ছিলো মগণ এ প্রানপণ
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা

সব আমাদেরই জন্য

গড়িয়াহাটার মোড়, মিনি মিনি বাস বাস,
বাসের টারমিনাসে, মন মরা সারি সারি
মুখ চোখ নাক হাত, রোগা রোগা চেহারার কনডাক্টার
সব আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
চৌরঙ্গীর আলো এবং লোড শেডিং,
পার্ক স্ট্রীট জমকালো, কাগজে হেডিং।
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
বেদম ট্র্যাফিক জ্যাম, ঠান্ডা স্যালামি হ্যাম,
চকলেট, ক্যাডবেরি, মাদার ডেয়ারী,
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
বাজারের দরাদরি, রুটি ভাত তরকারি,
সা নি ধা পা মা গা রে সা মাদার টেরেসা,
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
কুঁয়াশা কুয়াশা কাদা, ভোর বেলা গলা সাধা,
সারেগা রেগামা গামা গামাপা মাপাধা পাধা পাধানি ধানিসা–
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
ফুটবোর্ডে ঝুলে যাওয়া, অথবা লেডিজ সীট-
তাক্ করে উদাসীন, আকাশ কুসুম টিক্ টিক্-
টিকিট কাটতে গিয়ে ব্যাজার মানুষ, খুচ্-খুচরো পয়সা নেই
আমাদেরই জন্য। নেই আমাদেরই জন্য।
সা গা পা ধানি ধানি পাধানি, সানিধা নিধা পাগা সাগা পাধানি,
বছরে তিরিশবার চিত্রাঙ্গদা আর শ্যামা
শাপ-মোচনের অশ্রু মোচন, আমাদেরই জন্য।
গাজনের ছয়লাপ, আধুনিক কিং খাপ,
কিং সাইজ ভজনের শিবের গাজন,
আমাদেরই জন্য।
সংস্কৃতির ঢাক, তে রে কে টে তাক্ তাক্
দমাদম দমাদম কৃষ্টি বিষম
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
পাতাল রেলের খাল, ভাঙাচোরা দিন কাল,
পদে পদে ঠোক্কোর, বকর বকর,
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
আপিস কাছারি রাইটার্স বিল্ডিং ডিং
বিনয় বাদল দিন্ দিনেশের নাম ধার,
ধর্মতলার মোড়ে লেন দেন নিন দিন লেনিন
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
সুনীল গাঙ্গুলীর দিস্তে দিস্তে লেখা,
কত কবি মরে গেল চুপি চুপি একা একা,
আমাদেরই জন্য। শুধু আমাদেরই জন্য।
সিনথেসাইজারের টাপুর টুপুর
সুমন চাটুজ্যের এক ঘেয়ে সুব
নয় আমাদেরই জন্য। নেই আমাদেরই জন্য।
সত্যজিতের ছবি, শক্তির পদ্য,
লিট্ল্ ম্যাগাজিনের লেখা অনবদ্য।
গ্রুপ থিয়েটার আর একাদেমি সমাচার,
একুশে আইন আর গণেশ পাইন।
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
কেরানী ও অফিসার পাটোয়ার নেতা,
ফুটপাথে ছোটো বড় ক্রেতা বিক্রেতা,
বেশ্যা দালাল, টিকিধারী পুরোহিত,
ট্যাকসি চালক আর পুলিশের খিট্ মিট্
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
আমাদের জন্যেই ভোরের আকাশ,
লালচে পূবের কোণে আসে আশ্বাস।
আমাদের জন্যেই মিষ্টি সকাল,
নীলের গভীরে হাসে একা মহাকাল।
আমাদেরই জন্যেই বৃষ্টি এসেছে,
দারুণ প্রাণের টানে দুকুল ভেসেছে।
মৌমাছি খুঁজে মরে আমাদেরই মধু,
আকাশ ডাকছে আজ আমাদেরই শুধু।
সমুদ্রে ঢেউ ভাঙে আমাদেরই নামে,
শ্রমিকের দেহ ভেজে আমাদেরই ঘামে।
যে যেখানে লড়ে যায় আমাদেরই লড়া,
জীবনের কথা বলা গানের মহড়া যেন
সব্বার জন্যে, সব্বার জন্যে।
আমরাই কলকাতা আজ আগামীর,
আমরাই গান গাই আমির তুমির,
ইট কাঠ কংক্রীট শ্যাওলা ময়লা,
প্রতিটি নতুন গান মাসের পয়লা।
আমার জীবন থেকে উঠে আসা সুর
তোমাকে শুনিয়ে আমি যাব বহু দূর।
ফিরেও আসবো আমি তোমার সুবাসে,
থাকবো তোমার বুকে আর আসে পাশে।
আমাকে পড়লে মনে খুঁজো এইখানে,
এখানে খুঁজছি আমি জীবনের মানে।

আকাশ ভরা সূর্য তারা

আকাশ ভরা সূর্য তারা
আকাশমুখী সারি সারি
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া ঠাসাঠাসি বাক্স বাড়ি
এখান থেকেই চলার শুরু এখান থেকেই হামাগুড়ি
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি ….
বারোতলার ওপর থেকে
বারো বছর কেটে গেছে
ইস্কুলটা যাওয়া ছাড়া নামা হয়না মাটির কাছে
শোবার ঘরের দেওয়ালটাময় হাঁস মুর্গী অনেক নাচে
তবু ওর লাল চোখের ভেতর কোথাও যেন কান্না ভাসে৷
সেখান থেকে একটু দূরে
একটুখানি এগিয়ে গেলে
একলা থাকেন নন্দীবাবু বন্দী সেও যে বয়সকালে
সংসারটার হাল ধরেছে বখাটে তার ছোট ছেলে
এক কাপ চা দিয়ে গেছে কখন জানি সাত সকালে
রেডিওটার ব্যাটারিটা হঠাত্ কবে গেল ক্ষয়ে
খাটের থেকে নামতে মানা
বুকের ব্যাথা গেছে সয়ে
নীলিমার মা তাই তো যে আর ভাবেনা আর সংসারটা নিয়ে
এঁদো গলির সেঁদো ঘরে সবই কেমন বয়ে গেছে
এখান থেকেই আটকে পরা এখানটাতেই ঘুরোঘুরি
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি ….
চৌধুরীদের একুশ তলায় মদের নেশায় উঁচু গলায়
ঝগড়া চলে গভীর রাতে
লাজলজ্জার বাঁধ ভেঙ্গে যায়
কোর্ট কাছারি অনেক হল
হলনা যে ছাড়াছাড়ি
সম্পত্তি আঁকড়ে ধরে গভীর রাতের মারামারি৷
সেখান থেকে একটু দূরে পাড়ার মোড়টা একটু ঘুরে
অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর কারা গুমড়ে মরে
বলি হল আরেকটা প্রাণ
মস্তানদের ছোরাছুরির
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি সারি সারি ….
চিলেকোঠার বারান্দাটা বন্ধ কেন জানো কি তা?
এখান থেকেই লাফিয়ে পরে
লাহাবাড়ির অনিন্দিতা
গভীর রাতে তাইতো কেউ আর ওঠে না যে ওদের ছাদে
অন্ধকারের বন্ধ ঘরে কারা যেন ডুকরে কাঁদে
সেখান থেকে একটু দূরে ছদের পাঁচিলটা ঘুরে
এক চিলতে রোদ্দুরেতে ছোট্ট মেয়ে নামতা পড়ে
তাই তো কালো ইঁটের ফাঁকে বট পাতাটা জিভ ভ্যাংচায়
পাড়ার নেড়ি, বাচ্চাটাকে বুকে করে হাঁটতে শেখায়৷
এখানটাতেই আটকে পরা
এখানটাতেই ঘুরোঘুরি
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি ….
আকাশ ভরা সূর্য তারা
আকাশমুখী সারি সারি
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া
ঠাসাঠাসি বাক্স বাড়ি
এখান থেকে চলার শুরু এখানটাতেই হামাগুড়ি
এখানটাতেই আমার বাসা
তোমার ভালোবাসার বাড়ি৷
-অঞ্জন দত্ত

পেটকাটি চাঁদিয়াল

পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক, মাটিতে অবজ্ঞা।
বয়স বারো কি তেরো, রিকশা চালাচ্ছে,
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক ছেলেটাকে ডাকছে।
বয়স বারো কি তেরো, বড়জোর চোদ্দ,
রিক্শা চালাতে শিখে নিয়েছে সে সদ্য।
ছেলেটার মন নেই প্যাডেলে বা চাক্কায়,
ঐ তো লেগেছে প্যাঁচ চাঁদিয়াল বগ্গায়।
শান্ দেওয়া মানজায়, বগ্গা ভো কাট্টা।
ছেলেটা চেঁচিয়ে ওঠে “এই নিয়ে আটটা”।
সওয়ার বাবুটি ভাবে, দেরি হয়ে যাচ্ছে।
বিচ্ছু ছোঁড়াটা বড় আস্তে চালাচ্ছে।
“ওই ছোঁড়া, আরে ওই ছোঁড়া ম’ল যা
আট্টা তো তোর কি ?”
সওয়ার বাবুটি দেন রেগে মেগে হুমকি।
বাবুর খ্যাঁকানি শুনে সম্বিত্ ফিরে পায়
ছেলেটা যে করে হোক রিক্শা চালিয়ে যায়।
এ কিশোর পারবে কি এই বোঝা টানতে ?
এই বাবু কোনো দিন পারবে কি জানতে ?
যে ছেলেটা প্রাণপণে রিক্শা চালাচ্ছে,
মুক্তির ঘুড়ি তাকে খবর পাঠাচ্ছে।
পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক, মাটিতে অবজ্ঞা।
পেটকাটি চাঁদিয়াল…

তোমাকে চাই

প্রথমত:, আমি তোমাকে চাই
দ্বিতীয়ত:, আমি তোমাকে চাই
তৃতীয়ত:, আমি তোমাকে চাই
শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই

নিঝুম অন্ধকারে তোমাকে চাই
রাতভোর হলে আমি তোমাকে চাই
সকালের কৈশোরে তোমাকে চাই
সন্ধের অবকাশে তোমাকে চাই

বৈশাখী ঝড়ে আমি তোমাকে চাই
আষাঢ়ের মেঘে আমি তোমাকে চাই
শ্রাবণে শ্রাবণে আমি তোমাকে চাই
অকালবোধনে আমি তোমাকে চাই

কবেকার কলকাতা শহরের পথে
পুরোনো নতুন মুখ ঘরে ইমারতে
অগুন্তি মানুষের ক্লান্ত মিছিলে
অচেনা ছুটির ছোঁয়া তুমি এনে দিলে
নাগরিক ক্লান্তিতে তোমাকে চাই
এক ফোঁটা শান্তিতে তোমাকে চাই
বহুদূর হেঁটে এসে তোমাকে চাই
এ জীবন ভালোবেসে তোমাকে চাই

চৌরাস্তার মোড়ে পার্কে দোকানে
শহরে গঞ্জে গ্রামে এখানে ওখানে
স্টেশন টার্মিনাস ঘাটে বন্দরে
অচেনা ড্রয়িংরুমে চেনা অন্দরে
বালিশ তোশক কাঁথা পুরোনো চাদরে
ঠান্ডা শীতের রাতে লেপের আদরে
কড়িকাঠে চৌকাঠে মাদুরে পাপোশে
হাসি রাগ অভিমানে ঝগড়া আপোসে
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই
ডাইনে ও বাঁয়ে আমি তোমাকে চাই
দেখা না দেখায় আমি তোমাকে চাই
না-বলা কথায় আমি তোমাকে চাই

শীর্ষেন্দুর কোন নতুন নভেলে
হঠাত্ পড়তে বসা আবোলতাবোলে
অবোধ্য কবিতায় ঠুংরি খেয়ালে
স্লোগানে স্লোগানে ঢাকা দেয়ালে দেয়ালে

সলিল চৌধুরীর ফেলে আসা গানে
চৌরাশিয়ার বাঁশি মুখরিত প্রাণে
ভুলে যাওয়া হিমাংশু দত্তর সুরে
কোন্ কবেকার অনুরোধের আসরে
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
অনুরোধে মিনতিতে তোমাকে চাই
বেদনার আর্তিতে তোমাকে চাই
দাবীদাওয়া চাহিদায় তোমাকে চাই
লজ্জাদ্বিধায় আমি তোমাকে চাই
অধিকার বুঝে নেওয়া প্রখর দাবীতে
সারারাত জেগে আঁকা লড়াকু ছবিতে
ছিপছিপে কবিতার ছন্দে ভাষায়
গদ্যের যুক্তিতে বাঁচার আশায়
শ্রেণীহীন সমাজের চির বাসনায়
দিনবদলের খিদে ভরা চেতনায়
দ্বিধাদ্বন্দের দিন ঘোচার স্বপ্নে
সাম্যবাদের গান ঘুমে জাগরণে
বিক্ষোভে বিপ্লবে তোমাকে চাই
ভীষণ অসম্ভবে তোমাকে চাই
শান্তি অশান্তিতে তোমাকে চাই
এই বিভ্রান্তিতে তোমাকে চাই

কখনও সময় আসে জীবন মুচকি হাসে

কখনও সময় আসে জীবন মুচকি হাসে
ঠিক যেন প’ড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা
অনেক দিনের পর মিলে যাবে অবসর
আশা রাখি পেয়ে যাবো বাকি দু-আনা৷

আশা নিয়ে ঘর করি
আশায় পকেট ভ’রি
প’ড়ে গেছে কোন্ ফাঁকে চেনা আধুলি
হিসেব মেলানো ভার
আয়-ব্যয় একাকার
চ’লে গেল সারাদিন এল গোধূলি
সন্ধে নেবে লুটে
অনেকটা চেটেপুটে
অন্ধকারের তবু আছে সীমানা
সীমানা পেরোতে চাই
জীবনের গান গাই
আশা রাখি পেয়ে যাবো বাকি দু-আনা...

দশ ফুট বাই দশ ফুট

তক্তোপোষ বা মেঝেতে বিছানা, দড়িতে লুঙ্গি শাড়ি তিনখানা,
তারি এক পাশে পড়ে আধখানা, বেওয়ারিশ বাসি বিস্কুট।

দরজায় আছে নম্বর লেখা, তাই দেখে দেখে ঠিকানাটা শেখা।
যদিও বাসার আসল ঠিকানা, দশ ফুট বাই দশ ফুট।

জনা চারেকের বাসা এই ঘরে, পাঁচ জন হবে কিছুদিন পরে,
ঘ্যাঁশা ঘ্যাঁশি করে গায়ে গায়ে শুধু কুট্ কুট্।

দরজায় আছে নম্বর লেখা, তাই দেখে দেখে ঠিকানাটা শেখা।
যদিও বাসার আসল ঠিকানা, দশ ফুট বাই দশ ফুট।

খাওয়া বসা ঘুম একই যায়গায়, ছেলে মেয়ে দেখে আধো তন্দ্রায়,
বয়স্ক দুই দেহ মিলে যায়, আঁধার ঘনালে ঘুট্ ঘুট্।

দরজায় আছে নম্বর লেখা, তাই দেখে দেখে ঠিকানাটা শেখা।
যদিও বাসার আসল ঠিকানা, দশ ফুট বাই দশ ফুট।

রান্নাঘরটা খোঁড়া অজুহাত, ঘরণী সেখানে ছড়িয়েছে ভাত।
আরশোলাদের খুলেছে বরাত, রাতে ইঁদুরের খুট্ খুট্।

দরজায় আছে নম্বর লেখা, তাই দেখে দেখে ঠিকানাটা শেখা।
যদিও বাসার আসল ঠিকানা, দশ ফুট বাই দশ ফুট।

ছেলে বড় হয়ে বেকারীর গ্লানি, মেয়ে করে প্রেম বৃথা হয়রানি।
প্রেমিকের আছে টো টো কোম্পানি, শনিবার তারা দেয় ছুট্।

ছুটবে কোথায় প্রেম তাল কানা, গোপনীয়তার নেই মালিকানা।
এই প্রেমিকেরও আসল ঠিকানা, দশ ফুট্ বাই দশ ফুট্।

Ferari Mon......(Antaheen)

আলো আলো রং জমকালো চাঁদ ধুয়ে যায়
চেনাশোনা মুখ জানাশোনা হাত ছুয়ে যায়
ফিরে ফিরে ঘুম ঘিরে ঘিরে গান রেখে যায়
কিছু মিছু রাত পিছু পিছু টান ডেকে যায়
আজও আছে গোপন ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন

চেনাশোনা মুখ জানাশোনা হাত রেখে যায়
ফিরে ফিরে ঘুম ঘিরে ঘিরে গান ডেকে যায়
আজও আছে গোপন ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন

ছোট ছোট দিন আলাপে রঙীন নুরিরী মতন
ছোট ছোট রাত চেনা মৌতাত
পলাশের বন
অগোছালো ঘর খরকুটোময়
চিলেকোঠা-কোন

ছোট ছোট দিন আলাপে রঙীন নুরিরী মতন
ছোট ছোট রাত চেনা মৌতাত
পলাশের বন
অগোছালো ঘর খরকুটোময়
চিলেকোঠা-কোন
কথা ছিল হেটে যাবো ছায়াপথ

ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন

কিছু মিছু রাত পিছু পিছু টান অবিকল
আলো আলো রং জমকালো চাঁদ ঝলমল
আজও আছে গোপন ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন

গুড়ো গুড়ো নীল রং পেন্সিল জোছনার জল
ঝুর ঝুর কাঁচ আগুন ছোয়াচ ঢেকেছে আঁচল
ফুটপাতে ভির জাহাজের ডাক ফিরে চলে যায়
গুড়ো গুড়ো নীল রং পেন্সিল জোছনার জল
ঝুর ঝুর কাঁচ আগুন ছোয়াচ ঢেকেছে আঁচল
ফুটপাতে ভির জাহাজের ডাক ফিরে চলে যায়
কথা ছিল হেটে যাবো ছায়াপথ
আজও আছে গোপন ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন

আলো আলো রং জমকালো চাঁদ ধুয়ে যায়
চেনাশোনা মুখ জানাশোনা হাত ছুয়ে যায়
আজও আছে গোপন ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন

ক্যালসিয়াম

ডাক্তার বলছে ক্যালসিয়াম টা কম
টিউটর বলছে অঙ্কটা কমজোরি
ছটকা বলছে ধুরছাই নেই তোর দম
আম্মা বলছে আচার গেছে চুরি
পিসি বলছে বকে গেছে ছেলেটা হিন্দি ছবি দেখে
দিদি বলছে ভীষণ unsmart
দাদু বলছে সময়টা গোলমেলে করবে কি
জ্যাঠা বলছে পেদিয়ে উল্কাত
ছাদের পাঁচিল বলছে আয়ে ছুটে আয়ে খালি পায়ে
আকাশ বলছে গলা খুলে গা

ঝিগির ব্যাম ঝিগির ব্যাম ব্যাম ব্যাম

মা বলছে দুধ টা একদম মুখেই তুলছে না
হরলিক্স বলছে এমনি এমনি খাও
আনটি বলছে আগে এতটা careless ছিলনা
বাবা বলছে জাহান্নুমে জাও
পাশের বাড়ির বউদি বলছে আঁকার স্কুল এ দিন না
মামা বলছে স্পকেন ইংলিশ weak
দাদু বলছে সময়টা গোলমেলে করবে কি
জ্যাঠা বলছে পেদিয়ে উল্কাত
ছাদের পাঁচিল বলছে আয়ে ছুটে আয়ে খালি পায়ে
আকাশ বলছে গলা খুলে গা

ঝিগির ব্যাম ঝিগির ব্যাম ব্যাম ব্যাম

সুমন বলছে পারো যদি অন্য ছবি দেখো
টিনটিন বলছে চল antartika
টিভি বলছে বল i am a complaint boy
আঞ্জন বলছে টিভি দেখনা
তোপসেটাই বা কেন লেখা বন্ধ করে দিল
ফেলুদা কিছুই বলছে না
দাদু বলছে সময়টা গোলমেলে করবে কি
জ্যাঠা বলছে পেদিয়ে উল্কাত
ছাদের পাঁচিল বলছে আয়ে ছুটে আয়ে খালি পায়ে
আকাশ বলছে গলা খুলে গা

ঝিগির ব্যাম ঝিগির ব্যাম ব্যাম ব্যাম

Bhalobasa.....(Parash Pathar)

ভালবাসা মানে ধোয়া ছারার প্রতিশ্রুতি |
ভালবাসা মানে এলোচুল মাতয়ারা |
ভালবাসা মানে সময় থামার আগে,
ভালবাসা তোমার শুরু, আমার সারা |
ভালবাসা মানে আর্চিস গ্যালারী |
ভালবাসা মানে গোপন গোপন খেলা |
ভালবাসা মানে কান্নাভেজা চোখে |
ভালবাসা মানে নীলখামের ভেলা |
ভালবাসা মানে আগাম চলার সুর |
ভালবাসা মানে অবিরাম চলাবসা |
ভালবাসা মানে আখিপল্লব ছুয়ে,
চিনতে শেখা শেষ রেকাবির ভাষা |
ভালবাসা মানে দূরভাষ নিশ্চুপে,
শুনে ফেলে অনুভূতির হাসি |
ভালবাসা নান্দনিক যাতায়াতে ,
ভালবাসা মানে চৌরাসী আর বাঁশি |

অন্ধকারের পরে

অন্ধকারের পরে বন্ধ দরজা খুলে সূর্যটা ঠিক উঠে যায়
কান্না পেতে পেতে হঠাৎ করে বন্ধুটা ঠিক জুটে যায়
হাতটা বাড়াই তাই তোমার দিকে ডাকি জপসা চোখে তোমায়
তুমি হাতটা তোমার দাও হাতটা তোমার হাতটা তোমার আমায়

সাদা কালো রাত ফিকে হয় যে হঠাৎ যায় যন্ত্রণা হারিয়ে কোথায়
বেসুরো কথা গুলো ছাড়তে ছাড়তে ধুলো হঠাৎ ই গান খুঁজে পায়
কেটে যায় ঘুম ঘোর নতুন একটা ভোর আসে আমার জানলায়
তুমি সুরটা তোমার দাও সুরটা তোমার সুরটা তোমার আমায়

চেনা অচেনায় নানা গোলক ধাধায় মন আমার পথটা হারায়
মনের কথা নিয়ে একা একা ঘুরে মরি ক্লান্ত একলা রাস্তায়
হঠাৎ এসে তুমি পাশে দাড়াও আসে নতুন স্বপ্ন পায়ে পায়ে
আমি খুজছি যাকে ঠিক পাই যে তাকে আমি খুঁজে পাই ঠিকই আমায়  .......

Thursday 18 October 2012

নিছক-ই দাঁড়ে-দাঁড়ে-দ্রুম

যখন শিরায় শিরায় ছোটে দিওয়ানা নুনে নুন খুন,
অর্থাৎ শিরাতে শিরাতে অন্তঃপীড়াতে পোড়ে আগুন !
অন্তঃসার শূন্য খাঁচার, মধ্যে বাঁচার,
পাকার এবং কাঁচার নিয়ম কানুন,
নেহাতই দাঁড়ে-দাঁড়ে-দ্রুম !
আসলে অন্তর আমার ঠুনকো ঠুনকো বেডরুম !

হতে পারো কিরণমালা কিংবা অরুন-বরুণ,
হও বৃদ্ধ-প্রৌঢ, হামা বা দৌড়ো , কিশোরী তরুণ !

শহরের গল্প হোক না
হাসির খুশির, লাথির ঘুষির
বা ছলছলে বিষাদ-করুণ !

নিছক-ই দাঁড়ে-দাঁড়ে-দ্রুম !
ছায়া ফেলে অন্তঃস্থলে, উসকো খুসকো বেডরুম !

চোখে আর জিভে জড়াচ্ছে ঘুম,
নখে আর বুকে ছড়াচ্ছে ঘুম !

এসব-ই দাঁড়ে-দাঁড়ে-দ্রুম !
আসলে দাঁড়ে-দাঁড়ে-দ্রুম !
নিছক-ই দাঁড়ে-দাঁড়ে-দ্রুম !

চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন

চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন আর কবিতায় শুয়ে couplet
আহা উত্তাপ কত সুন্দর তুই thermometer -এ মাপলে

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল ( nostal -gia ) , মিঠে কুয়াশায় ভেজা আস্তিন
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতি

 চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন....

প্রিয় বন্ধুর পাড়া নিরঝুম, চেনা চাঁদ চলে যায় রিক্সায়
মুখে যা খুশি বলুক রাত্তির , শুধু চোখ থেকে চোখ দিক সায়

পায়ে ঘুম যায় একা ফুটপাথ ওড়ে জোছনায় মোরা প্ল্যাস্টিক ,
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতি

চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন.....

পোষা বালিশের নিচে পথঘাট, যারা সস্তায় ঘুম কিনতও
তারা কবে ছেড়ে গেছে বন্দর, আমি পালটে নিয়েছি রিংটোন

তবু বারবার তকে ডাক দিই একি উপহার নাকি শাস্তি
তবু বারবার তকে ডাক দিই একি উপহার নাকি শাস্তি
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতি......

জানি দেখা হবে....

মেলেছো চোখ, উড়েছে ধুলো,
দুরের পালক তোমাকে ছুলো
তবু আজি আমি রাজি
চাঁপা ঠোঁটে  কথা ফোটে
শোনো .....আমাকে রাখো চোখের কিনারে.... গোপন মিনারে ....

Jo wada kiya woh nibhaanaa padhega
Roke zamana chaahe roke khudaaii
Tumko aana padhega !

ঘুম ভেঙ্গে কিছু মেঘলা দিন হোক
ওড়নার পাশে সেফটি -পিন ও হোক
বিকেলের নাম Al Pacino হোক
খেয়ালি ছাতে !

কফি কাপে একা ঠোঁট ছোয়ানো দিন,
চুপি চুপি কেঁদে  রোদ পোহানো দিন,
ভালো হয় যদি সঙ্গে আনো দিন
যে কোনো রাতে !

জানি দেখা হবে....ঠোঁটের ভেতরে ...ঘুমের আদরে ...

চকমকি মনে মন জ্বালাতে চাই
দিনে ব্যালকনি , বৃষ্টি রাতে চাই
পিছুডাকে ঘুম সাজাতে চাই
বিছানা ঘিরে ...

ছোট lamp-shade অল্প আলো তার
চুল খুলে কে রূপ বাড়ালো তার
তুমি বোঝো নাকি মন্দ ভালো তার
যেও না ফিরে...

জানি দেখা হবে.... রাতের সোহাগে ...তোমার পরাগে

মেলেছো চোখ, উড়েছে ধুলো
দুরের পালক তোমাকে ছুলো
তবু আজি আমি রাজি
চাঁপা ঠোঁটে  কথা ফোটে
শোনো .....আমাকে রাখো চোখের কিনারে.... গোপন মিনারে ....

Jo wada kiya woh nibhaanaa padhega
Roke zamana chaahe roke khudaaii
Tumko aana padhega !

শুভেচ্ছা- হুমায়ুন আজাদ

শুভেচ্ছা
(হুমায়ুন আজাদ)

ভালো থেকো ফুল
মিস্টি বকুল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ধান,
ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।

ভালো থেকো মেঘ,
মিটি মিটি তারা,
ভালো থেকো পাখি,
সবুজ পাতারা, ভালো থেকো।

ভালো থেকো চড়,
ছোট কুঁড়ে ঘর, ভালো থেকো।
ভালো থেকো চিল,
আকাশের নীল, ভালো থেকো।

ভালো থেকো পাতা,
ভালো থেকো জল,
ভালো থেকো গাছ, ভালো থেকো, ভালো থেকো।

ভালো থেকো রোদ,
ভালো থেকো ঘাস,
ভোরের বাতাস, ভালো থেকো, ভালো থেকো।

আমার রাস্তা আমার বাড়ি - অঞ্জন দত্ত

আমার রাস্তা আমার বাড়ি - অঞ্জন দত্ত, নিমা রহমান

আমার রাস্তা আমার বাড়ি ..আমার ফাটা দেয়াল
আমার পোড়া মনের অজস্র জঞ্জাল

ভাঙছে কেবল ভাঙছে..শুধু যাচ্ছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
আমার রাত্রি আমারই সকাল

একই ভাবে ঘামতে ঘামতে..মনের ভেতর নামতে নামতে
কোনমতে করছি দিনটা পার

চলছে চলবে..চলছে চলবে ..এই ভাঙাচোরা গল্পটা আমার

নাকে আমার পোড়া পিচের গন্ধ..বুকে কালো ধোঁয়া
হাতে-পায়ে শুধুই অবক্ষয়
তবু কাশতে কাশতে..এখনও যে হাসতে পাড়ি ভালোবাসতে
নিজের কাছে নিজেরই বিস্ময়

করবো যে আর কত ঘেন্না নিজেই নিজের ছায়াটাকে
করবো যে আর কত অপমান
আবার তো সেই আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে নিজের নরকটাকে
গাইবো আমি ভালোবাসার গান

এসো আমার ঘরে একবার
তুমি এসো আমার ঘরে একবার

পারো যদি দেখে যেও বেঁচে থাকা কারে বলে
এসো আমার শহরে একবার.............

আদরের নৌকো- চন্দ্রবিন্দু

আদরের নৌকো
ভেসে যায় আদরের নৌকো
তোমাদের ঘুম ভাঙে কলকাতায়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে
রং লিখে ঘর পাঠায়
ভিকিরিরা স্বপ্ন পায়
তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জ্যোৎস্নায়

ধুয়ে যায় আদরের পথ-ঘাট
ভেসে যায় আরামের অঞ্চল
রেলিংয়ের ঘুম ঘোরে
টুপ করে কাঁদলো জল
ডানা ভাঙা একলা কাক
পথ ভেসে থাক একলাটি থাক

এ জন্মের রেলগাড়িরা যায়
জলপরী হোক ধুলো হাওয়ায়
হাওয়া কে এসে আঁকে তার ডানায়
এই নরম চুল ধুলোর ফুল
যায় ভেসে যায়

ভেসে যায় আদরের নৌকো
ভেসে যায় সোহাগের সাম্পান
সিগারেট টুকরোরা মুখচোরা শিখছে স্নান
নুড়ি ঘেরা বালির স্তুপ
জোনাকির রূপ বুকে নিয়ে চুপ

———————-
ব্যান্ড – চন্দ্রবিন্দু
এ্যলবাম – চ

তিস্তানে...

পাঁচ টাকা দিয়ে দিনের শুরু, ষোল টাকা দিয়ে শেষ
তিন টাকা দিয়ে মুক্তি কিনে হবো নিরুদ্দেশ

পাঁচ টাকা দিয়ে দিনের শুরু, ষোল টাকা দিয়ে শেষ
তিন টাকা দিয়ে মুক্তি কিনে হবো নিরুদ্দেশ
তখন কেন হাত বাড়ালে, এখন কেন চুপ?
তখন কেন জ্বাললে আলো, এখন পোড়াও ধূপ?
আর এখন তুমি নিচ্ছো অন্যরূপ।

আর এখন almost পাগল এ মন
বিষ পানে অভ্যস্ত এ জীবন
শূন্য দু’হাত, আবার চাইছে
ফিরিয়ে নিয়ে চলো.....
তিস্তানে... তিস্তানে...... তিস্তানে......

মাসটা যখন ফুরিয়ে যাবে, ওরা দেবে অনেক টাকা;
তবু মাসের শেষে মনে হবে ভেতরটা খুব ফাঁকা।
সময় যখন আটকে রাখবে সময় চলবেনা
যখন সময় অনেক দরকার সময় থাকবেনা
তখন সময় তোমার পাশে নেই।

আর এখন almost পাগল এ মন
বিষ পানে অভ্যস্ত এ জীবন
শূন্য দু’হাত আবার চাইছে
ফিরিয়ে নিয়ে চলো.....
তিস্তানে... তিস্তানে...... তিস্তানে......

♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____♫______♫
যখন বলেছিলাম আমি চলে যাবো, তখন কেন কাঁদোনি?
একের পর এক ভুল করেছি, তবু কেন আটকাওনি?
যতক্ষণ তুমি জিতছো, প্রত্যেকটা মানুষ তোমার সাথে
তুমি একবার হেরে যাও, আর কেউ নেই তোমার পাশে!
♫ ______♫_____♫______♫ ______♫_____♫______♫

তখন কেন হাত বাড়ালে, এখন কেন চুপ?
তখন কেন জ্বাললে আলো, এখন পোড়াও ধূপ?
আর এখন তুমি নিচ্ছো অন্যরূপ।

আর এখন almost পাগল এ মন
বিষ পানে অভ্যস্ত এ জীবন
শূন্য দু’হাত, আবার চাইছে
ফিরিয়ে নিয়ে চলো.....
তিস্তানে...... তিস্তানে...... তিস্তানে......

অন্য কোথাও চল |

আমার শহরে শুকিয়ে যাচ্ছে জল |
আস্তে আস্তে লুকিয়ে যাচ্ছে জল |
ফুরিয়ে আসছে স্নান করবার দিন |
অন্য কোথাও চল |


কাঠফাটা হাসি উপহার কি রঙিন,
এলো শেষমেষ সেলোফেনে মোড়া দিন |
চেনা অজুহাত বাহানা কেনার ছল,
আমার শহরে শুকিয়ে যাচ্ছে জল |
অন্য কথাও চল |


আমার শহরে সাঁতার শিখতে চেয়ে,
রাজধানী থেকে একলা এসেছে মেয়ে |
এসে দেখে ধুঁ ধুঁ কংক্রিট অঞ্চল |
অন্য কোথাও চল |

জল ফড়িং !

তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস,
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস ?
সাক্ষাৎ আলাদিন তোর প্রদীপ ভরা জিনে,
কেন খুঁজতে যাস আমায় সাজানো মাগাজিনে ?

ভেজা রেলগাড়ি হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে,
আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে !
তারপর বেরোয় মেঘ আর তারায় ভরা স্টেশন ,
একটু থামতে চায় প্রেমিকের ইন্সপিরেশন !

তোর এ সকাল ঘুম ভেঙ্গে দিতে পারি !
তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি !
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি !
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি !

আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং !

ছুঁড়ে ফেলে দে তোর গল্প বলা ঘড়ি,
শূন্যে খুড়োর কল , সব মিথ্যে আহামরি !
একটু শুনতে চাই তোর পাঁজর ভাঙ্গা চিৎকার,
অন্য গানের সুর, তোর অদ্ভুত এ অহংকার !

তোর এ সকাল ঘুম ভেঙ্গে দিতে পারি !
তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি !
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি !
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি !

আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং !

Imagine- John Lennon

Imagine there's no heaven
It's easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people living for today

Imagine there's no countries
It isn't hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion too
Imagine all the people living life in peace

You, you may say
I'm a dreamer, but I'm not the only one
I hope some day you'll join us
And the world will be as one

Imagine no possessions
I wonder if you can
No need for greed or hunger
A brotherhood of man
Imagine all the people sharing all the world

You, you may say
I'm a dreamer, but I'm not the only one
I hope some day you'll join us
And the world will live as one

                                                                         John Lennon

Tumi nei tai........(Cross Connection, Anjan Dutta)

সেই ট্রাম বাস রাস্তাঘাট,
সেই রাস্তার দোকানপাট |
লাগছেনা যে সেই আজকে হঠাথ |
আজ হটাথ স্তব্ধ গড়ের মাঠ |
শান্ত ব্যস্ত বাজারঘাট |
কোথায় হারিয়ে গেল কোলকাতা |
তুমি নেই সব যেকে সেই সব,
সব আছে, সবই আছে তবু নেই |
রং হয়েগেল ঘোলাটে |
এই শহরের মলাটে আজ |
সব কিছুই বড় অযথা |
ছিল ঝন্ঝাট, ছিল উচ্ছাস |
ছিল হতাশা, ছিল বিশ্বাস |
আজ সবকিছু নিদারুন সাদাকালো |
আজ পকেট ভরা শূন্যতা |
হৃদয়ে বড় দৈন্যতা |
শহর আমার গরিব হয়ে গেল |


চেনা পথঘাট অচেনা,
চেনা চেনা মুখ অজানা |
আজ হটাথ সবকিছুই এলোমেলো |
রং হয়েগেল ঘোলাটে, এই শহরেরে মলাটে |
কোথায় হারিয়ে গেল কোলকাতা |
নেই ঝন্ঝাট ভরা দিনটা |
নেই হাজার গন্ডা চিন্তা |
ছিল শহর আমার বড়ই আত্মহারা |
ছিল রোজকার অশান্তি |
তবু ছিলনা কোনো ক্লান্তি |
ছিলনা আমার মনটা দিশেহারা |

আছে দুচোখ ভরা ক্লান্তি,
আছে ওপর অপর শান্তি,
ভিতরে শুধু জমাট হতাশা |

শুধু ফেরা পথ টুকু ঘেরা পথ টুকু সেরা পথ হয়ে থেকে যাক......।।

ঝরে ঝরে পরে ছিপছাপ শুকনো পাতার স্তুপ ,
কবে যান কাকে চিনতাম ডাকবাক্সেরা চুপ,
পিছু পিছু ডাকা সার্সিতে আঁকা চুপ করে থাকা বন্ধু ,
পিছু পিছু ডাকা সার্সিতে আঁকা চুপ করে থাকা বন্ধু  ,
স্বপ্নের স্টলে লন্ঠন জ্বলে,
গল্পেরা চলে কোন দূর রাস্তাফেলে ,

শুধু ফেরা পথ টুকু ঘেরা পথ টুকু সেরা পথ হয়ে থেকে যাক
 আজ বিকেলে ......।

দেখো কুয়াশার নেই ডাকনাম তবু চশমার চোখে বাষ্প ,
মিঠে রোদ্দুর চায়ে রেলিঙের সায়ে একদিন নিতে আসবো ,
তবে জানিনা ,তবে জানিনা,

শুধু ফেরা পথ টুকু ঘেরা পথ টুকু সেরা পথ হয়ে থেকে যাক
আজ বিকেলে ............।।

দেখো হাত থেকে হাত কাঁচ ঘুম যেন শিত চলে গেছে পরশু ,
যদি দেখা হয়ে যায় চেনা রাস্তায় ফিরে যেতে চায় মরসুম ,
কেন জানিনা, কেন জানিনা,

শুধু ফেরা পথ টুকু ঘেরা পথ টুকু সেরা পথ হয়ে থেকে যাক
 আজ বিকেলে......।।




অবশেষে............।।