Sunday, 29 September 2013

আধো-আলো-আঁধারের

আধো-আলো-আঁধারের কোন এক নগরের
মেস ঘরে থাকি চারজন
ট্রাম লরি টেম্পোরা শব্দের আলপনা
দিয়ে ঘিরে রাখে সারাখ’ন
রাত কিবা কিবা দিন ঘেমো ঘরে আলোহীন
ভৌতিক কেরাণীরা রই
আবছায়ে নড়িচড়ি থুতনিতে রুখু দাড়ি
এই কোলাহলে নিরজন

অজানা ইথার শরীর শুধুই দেওয়াল জুড়ে
কাটে সারাদিন সময়ের কঠিন করাত
নিশাচর ইঁদুরেরা ছিঁড়ে চলে দিনভরা রোদহীন ছায়ার বনাত
তবু সব শনিবারে তারা সব আসে ফিরে
ছাতে উঠে যায় চারজন
টিভির অ্যান্টেনা যেন বা মাছের কাঁটা
বেড়ালের তরে আয়োজন

শহর আলোয় উজল
ধোঁয়াশায় আকাশ পিছল
ছাদে এসে নামে ভীনগ্রহী ফ্লাইং সসার

শহর আলোয় উজল
ধোঁয়াশায় আকাশ পিছল
ছাদে এসে নামে ভীনগ্রহী ফ্লাইং সসার

জেনো সব কেরানীরা
এইভাবে ঘোরে তারা
পড়ে থাকে যতো অফিসার

এই সুরে বহুদূরে চলে যাবো

 এই সুরে বহুদূরে চলে যাবো, চলে যাবো-
পথ দেখাবো পথ দেখাবো
আসলে এসো না এই নতুনপুরে
আর ভাবনা নেই
আপনাতেই সুর ঝরাবো সুর ঝরাবো
সব ঝরাবো সব ঝরাবো
সবকিছু যা আছে পুরোনোতেই।

ফিরবো না পিছনে
আর অন্ধকারে
শব্দবিহীন শব্দের এই আঁধারে।

আর দেরি নয় দেরি নয়।
মন চলে মন চলে
ছাউনিতলে ছাউনিতলে
যেখানে পাবো ভোরের স্বপ্নজয়।

দৃশ্যমান মহীনের ঘোড়াগুলি

দৃশ্যমান মহীনের ঘোড়াগুলি

যে গেছে বনমাঝে চৈত্র বিকেলে
যে গেছে ছায়াপ্রাণ বনবীথিতলে
বন জানে অভিমানে গেছে সে অবহেলে
যে গেছে অশ্রুময় বন-অন্তরালে

আকাশে কেঁপেছে বাঁশিসুর
আঁচলে উড়েছে ময়ূর
চলে যাই বলেছিলে চলে যাই
মহুল তরুর বাহু ছুঁয়ে
যে গেছে অশ্রুময় বন-অন্তরালে

সে বুঝি শুয়ে আছে চৈত্রের
হলুদ বিকেল
যেখানে চূর্ণ ফুল ঝরে তার আঁচলে
যেখানে চূর্ণফুল ঝরে তার
কাফনে

আমার হিয়া কাঁপে

কাঁপে কাঁপে
আমার হিয়া কাঁপে

এ কি যে কান্ড
এ কি যে কান্ড
এ কি কান্ড সব পন্ড এ ব্রহ্মান্ড
শূণ্য লাগে
তুমি ছাড়া শূণ্য লাগে
কাঁপে কাঁপে…….

কি যে ছাই চিন্তা
কি যে ছাই চিন্তা
কি ছাই চিন্তা ওহে কান্তা পোড়ে প্রাণটা
দুঃখ জাগে
তুমি ছাড়া শূণ্য লাগে
কাঁপে কাঁপে……..

কপালটা মন্দ
কপালটা মন্দ
কপাল মন্দ লাগে ধন্দ কাটে ছন্দ
বিরহ রাগে
তুমি ছাড়া শূণ্য লাগে
কাঁপে কাঁপে…….

শিরে সংক্রান্তি
শিরে সংক্রান্তি
হে অশান্তি দাও ক্ষান্তি সব ভ্রান্তি
দূর হোক আগে
কফি ছাড়া শূণ্য লাগে
ক্যাফে ক্যাফে আমার প্রিয়া ক্যাফে

haay bhalobashi

ভালোবাসি জ্যোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে
ছায়া ঘেরা মেঠোপথে ভালোবাসি হাঁটতে
দূর পাহাড়ের গায়ে গোধূলীর আলো মেখে
কাছে ডাকে ধান খেত সবুজ দিগন্তে

তবুও কিছুই যেন ভালো যে লাগেনা কেন
উদাসী পথের মাঝে মন পড়ে থাকে যেন
কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও

ভালো লাগে ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে ভাসতে
প্রজাপতি বুনোহাঁস ভালো লাগে দেখতে
জানলার কোণে বসে উদাসী বিকেল দেখে
ভালোবাসি একমনে কবিতা পড়তে

যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে
শুধুই ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে প্রান্তরে
তখন ভালোলাগেনা লাগে না কোন কিছু
সুদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে আজ সব কিছু

ভালোবাসি পিকাসো বুনুয়েল দান্তে
বিট্‌ল্‌স্‌ ডিলান আর বেথোফেন শুনতে
রবিশঙ্কর আর আলি আকবর শুনে
ভালোলাগে ভোরে কুয়াশায় ঘরে ফিরতে

সংবিগ্ন পাখিকূল

রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে শুধু কেউ নেই শূন্যতা
আকাশে তখন থমকিয়ে আছে মেঘ
বেদনাবিধুর রাডারের অলসতা- কিঞ্চিৎ সুখী পাখীদের সংবেগ

এমন বিশাল বন্দরে বহুকাল
থামেনি আকাশবিহারী বিমান যান
এখানে ওখানে আগাছার জঞ্জাল
শূন্য ডাঙায় বায়ু বীতগতিবেগ
এমন ছবিতে কিশোরী মানায় ভালো
ফ্রকে মুখগুঁজে কাঁদে চুল এলোমেলো

চারণ দেখেছে এই ছবিখানি তাই
হৃদয়ে জমেছে শূন্যতা উড়ু মেঘ
চারণ ভোলেনা এই ছবিখানি তাই
বড় মায়া লাগে বড় তার উদ্বেগ

আকাশে তখন ঝড় এসে যাবে বলে
থমকিয়ে আছে মেঘ

মেরুন সন্ধ্যালোক

মেরুন সন্ধ্যালোক

দিন চলে যায় সন্ধ্যা বেলায়
বসে একা উদাস হাওয়ায়
যতো ভাবি সুর বন পথ দূর
সুবাসী বায়ে, মহুয়া মুকুল

বেঁকে গেছে পথ গভীর বনে
মাতাল করে বিহন জনে
ভেসে আসে গান সাঁঝুলি আলোয়
মহুয়া-মেদুর শিমুলিয়া সুর

কলকাতা – ও – কলকাতা

ভেসে আসে কলকাতা কুয়াশা-তুলিতে আঁকা
শহরতলির ভোর মনেপড়ে
কাঠচাঁপা আর কৃষ্ণ-চূড়ার শৈশব শুধু খেলা করে
স্মৃতির ভেতর ট্রামের ধ্বনি বিবাগী সুর গড়ে
এই প্রবাসে ক্যালেন্ডারের পাতাই শুধু ঝরে
কলকাতা – ও – কলকাতা

গুলতি ছোঁড়া ঘুড়ি ওড়ার
অগস্ট দুপুর কে দেবে ফিরে
পরবাসের হৃদয় জুড়ে
এই অভিমান শুধু ভ’রে
স্টীমার ঘাটের ভোঁ কেন আজ
আবার উদাস করে
ভেসে আসে কলকাতা শুধু কুয়াশার ভোরে
কলকাতা – ও – কলকাতা

কথা দিয়া বন্ধু

কথা দিয়া বন্ধু ফিরা না আইলা
এ কেমন কথা হায় কি দশা
কানে বাজে তোমার কথা
বুকে বাজে তাই ব্যথা
কানের কথা বুকের ব্যথা হইয়া
আমার প্রাণে জাগায় যে হতাশা
হায়! হায়! সব হারাইয়া কান্দি তো
আশার ছলনায় ভুইল্যা গিয়া
আজি পথে বসিলাম গো
কবে তুমি ফিরা আসিবা বন্ধু
রইলাম তার আশায় হায় দুরাশা
ভাইবা হইলাম আকুল

আর শুকায় যে মালার ফুল
সঙ্গে শুকাইলো মোর প্রাণটা আর মনটা
করি সব কাজে বিষম ভুল
হায় সব হারাইয়া…

পড়াশোনায় জলাঞ্জলি

পড়াশোনায় জলাঞ্জলি ভেবে মূর্খ বলছো কি
তোমরা বলছো আমাদের জীবনের চার আনাই
ফাঁকি
হে ষোল আনা থেকে যদি চার আনা যায়
হিসেব দাঁড়ায় এসে বারো আনায়

কিন্ত বারো আনাতে আমরা খুশী
আমাদের চাওয়ার চেয়ে অনেক বেশী
মানিনা মানবোনা
করছো ছি ছি ছি
তোমরা বলছো অবাধ্য জীবনের
আট আনাই ফাঁকি

হে ষোল আনা থেকে যদি আট আনা যায়
হিসেব দাঁড়ায় এসে সেই আট আনায়
কিন্ত আট আনাতে আমরা খুশী
আমাদের চাওয়ার চেয়ে অনেক বেশী

আমাদের পরকাল ঝরঝরে ভেবে দুঃখ করছ কি?
তোমরা বলছো এলোমেলো জীবনের
বার আনাই ফাঁকি

আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি

আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি
তার নীল দেয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারি
তার কাঁচ দেয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারি
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি
চিলেকোঠায় বসা বাদামী
বেড়াল বোনে শূণ্যে মায়াজাল
ছাইরঙা পেঁচা সেই চোখ টিপে
বসে আছে কতনা বছরকাল
কালো দরজা খুলে বাইরে তুমি এলে
বাগানের গাছে হাসি ছড়াবে বুনো ফুলে
সেই বাড়ির নেই ঠিকানা
শুধু অজানা লাল সুরকির পথ
শূণ্যে দেয় পাড়ি

বাঁকানো সিঁড়ির পথে সেখানে নেমে আসে
চাঁদের আলো
কাউকে চেনো না তুমি তোমাকে চেনে না কেউ
সেই তো ভালো
সেথা একলা তুমি গান গেয়ে ঘুরে ফিরে
তোমার এলোচুল ঐ বাতাসে শুধু ওড়ে
সেই বাড়ির নেই ঠিকানা
শুধু অজানা লাল সুরকির পথ শূণ্যে দেয় পাড়ি
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি

ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি

ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি
খিদের থেকেও স্পষ্ট
কাজের মধ্যে অকাজ খালি
মনের মধ্যে কষ্ট
স্বপ্ন হয়ে যখন তখন আঁকড়ে আমায় ধর
তাইতো বলি আমায় বরং ঘেন্না কর ঘেন্না কর

গুনগানের হাজার বুলি শুধুই সময় নষ্ট
আঁকছো ছবি সমস্ত দিন রঙ সবই অস্পষ্ট

সুখের থেকেও হাজার গুনে দুঃখ অনেক ভালো
তাইতো বলি আমায় বরং ঘেন্না কর ঘেন্না কর

আজ চালাক আমি কাল বোকা
মহৎ প্রেমিক ন্যাকা ন্যাকা
আমার আসল চেহারা কি চিনতে তুমি পার?
চিনতে যদি পেরেই থাকো ঘেন্না কর ঘেন্না কর

আমি ডানদিকে রই না

আমি ডানদিকে রই না
আমি বামদিকে রই না
আমি দুই দিকেতেই রই
পরান জলাঞ্জলি দিয়া রে
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে
কবিতা করি আঁকিবুকি করি
আমি কেমনি মানুষ হই
আমার মহান হবার সাধই জাগে
মহান হতে পারিনে
আমি যে সাধ আহ্লাদ ছাড়িনে

মহাচিন্তায় আছি বন্ধু রে
আমি চলে গেলে কি পড়ে রবে
আমি আগার দিকে যাই না
আমি গোড়ার দিকে যাই না
আমি দুইদিকেতেই রই
কিছু থুইয়া কিছু থুইয়া রে
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে…

আমি কেমনি মানুষ হই
আমার দীর্ঘশ্বাসে বাতাসে মিশে ছেড়ে যায় আমারে
না জানি কিসের অভিমানে

মহাচিন্তায় আছি বন্ধুরে…

আমি উপর দিকে যাই না
আমি নীচের দিকে রই না
আমি মাঝপথে ঘুরি
কিছু দিয়া কিছু নিয়া রে
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে…

বন্ধু ভাবো কি?

মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাবো কি?
কখনো কি আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি
নাকি ভেবে নেব আজও তুমি আমায় চেনোনি?

ভালো লাগেনা তোমায় এ কথা বলেছি বার বার বার
তোমার মন ভেঙ্গে যাবে হেসেছিলাম আমি আবার
সবই ছিল ভালোবাসা বুঝলেনা বুঝলেনা
বুঝতে যদি দেখতে আমায় লাগছে অচেনা

হাসছি আমি বলছি কথা, ভাবছো দেখি না তোমায়
তুমি আমার হৃদয়ে আর দুর থেকে তাকিয়ে দেখায়
ক্ষণিকের বন্ধুরা যখন আর থাকবে না
খুঁজে দেখো পাবে আমায় আমি সেই চিরচেনা

তুমি আমি দিয়েছি পাড়ি দুজনে এপার ওপার
সবই আমার স্বপ্ন আর সুখের ছবি কল্পনার
জানি তুমি আমায় এখনো চিনতে পারো নি
ভালোবেসে ডাকবে যখন আসব তখনি

মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাবো কি?
কখনো কি আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি
নাকি ভেবে নেব আজও তুমি আমায় চেনোনি?

অজানা উড়ন্ত বস্তু

শুধু আজ নয় প্রতিদিন
সাত পাঁচ ভাবনা আর দুঃস্বপ্ন মেখে ঘুম ভাঙে আমার
তোমরা কেমন আছো?
তোমরা কি আমলকি গাছের ছায়ায় মোষের বিষন্ন ডাক শুনে
আনমনা হও আগেকার মতো?

শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন

শুধু আজ নয় প্রতিরাত
তোমাদের পরকাল ভেবে
তোমাদের কথা ভেবে ঘুমহীন রাত জাগি
নগরবাসীরা শোনো
তোমাদের অন্যায়ে আমাদের অবহেলা মিশে কোন নরক মাতায়
তা জানো কি?
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন

শুধু শেষ নয় শুরুতেই
বড়শির আঁকশিতে বিঁধে, আকাশের দিকে পিঠ হাজার চড়ক ঘুরছে
নিচে শত হাততালি মেরে
উল্লাসে ফেটে গেছ কতোবার
ঝুলন্ত মানুষের ব্যথাছবি রাঙা চোখে চেয়ে
তা মানো কি?

শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন

oh ganga

ভেবেছিলাম এগিয়েছি যে অনেক
বয়ে বাসনা মোর একের পরে এক
মনে হঠাৎ যেন আজ হলো খেয়াল
কেটেছে কাল ভেসে শুধুই আমার স্রোতেই
দোলায়
ও গঙ্গা
তুমি চলেছো ঢেউয়ে ঢেউয়ে কোথায়?
কখনো জোয়ারে আর কখনো ভাটায়
জানি রেয়েছো দু তীরে বাঁধা হায়
ভাবি এখন ছিলো কোথায় যে যাওয়ার
মনে আশার তরী শুধুই কি বাওয়ার
বুঝি নিশানা তার সুদূর দিগন্তে
আছে কি নেই কোন সুখের হদিস কি জানি
কোথায়
ও গঙ্গা…
মোর গীটারে তাই সহজ হলো সুর
মনে চাইনা যেতে আর তো বহু দূর
আছি যেথায় বাঁধা সেথায় যেন দেশ
জেনেছি বেশ তাই ভালোবাসা আর কে বেশী পায়
ও গঙ্গা…

Ami tarar moto jolbo

আমি তারার মতো জ্বলব,
তোমার কথা বলব,
দেখি আমায়, কে আটকায়?
আমি তোমার শরীরে,
চামড়ার গভীরে,
বয়ে যাই, কে আটকায়?

তোমার ethics থাকে পাহারায়, যতবার,
আমি তোমাকে দু হাতে পাই ততবার।

ভেবে দেখ অন্য সকাল,
নয়ত পর্দার আড়াল,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো লাল।
ভেবে দেখ অন্য শহর,
কিংবা পরের বছর,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো ঝড়।

আমি মেঘের মত একা,
আর তোমার সাথে দেখা,
যদি কোথাও হয়ে যায়
আমি ছুটে যাব আবার
কিছু থাক বা না থাক পাওয়ার
দেখি আমায়, কে আটকায়?

তোমার ethics থাকে পাহারায়, যতবার,
আমি তোমাকে দু হাতে পাই ততবার।

ভেবে দেখ অন্য সকাল,
নয়ত পর্দার আড়াল,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো লাল।
ভেবে দেখ অন্য শহর,
কিংবা পরের বছর,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো ঝড়

Mor bhabonare

মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো,
দোলে মন দোলে অকারণ হরষে।
হৃদয়গগনে সজল ঘন নবীন মেঘে
রসের ধারা বরষে॥
তাহারে দেখি না যে দেখি না,
শুধু মনে মনে ক্ষণে ক্ষণে ওই শোনা যায়
বাজে অলখিত তারি চরণে
রুনুরুনু রুনুরুনু নূপুরধ্বনি॥
গোপন স্বপনে ছাইল
অপরশ আঁচলের নব নীলিমা।
উড়ে যায় বাদলের এই বাতাসে
তার ছায়াময় এলো কেশ আকাশে।
সে যে মন মোর দিল আকুলি
জল-ভেজা কেতকীর দূর সুবাসে॥

Amar mote tor moton

কতবার তোর বাড়ি গিয়ে ফিরে, ফিরে এলাম
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই ।
কতবার তোর জানলা দিয়ে গলে হলুদ খাম,
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই ।

তোর বাড়ির পথে সারি সারি সৈন্য
যতটা লুকিয়ে কবিতায়
তারও বেশি ধরা পড়ে যায় ।
তোর উঠোন জুড়ে বিশাল অঙ্ক,
কষতে বারণ ছিল তাই,
কিছুই বোঝা গেল না প্রায়।

কখনো চটি জামা ছেড়ে রেখে রাস্তায় এসে দাঁড়া।

Monday, 23 September 2013

Ami bristi dekhechi

আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি

চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর
নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর
কখন কিসের টানেও মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝাপসা চোখে দেখা এ শহর

আমি অনেক ভেঙেচুরে আবার শুরু করেছি
আবার পাওয়ার আশায় ঘুরে ঘুরে ঘুরেমরেছি
আমি অনেক হেরে গিয়েও হারটা স্বীকার করিনি
শুধু তোমায় হারাব আমি স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি

হারিয়ে গেছে তরতাজা সময়
হারিয়ে যেতে করেনি আমার ভয়
কখন কিসের টানেও মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝাপসা চকে দেখা এ শহর

আমি অনেক স্রোতে বয়ে গিয়ে অনেক ঠকেছি
আমি আগুন থেকে ঠেকে শিখে অনেক পুড়েছি
আমি অনেক কষ্টে অনেক কিছু দিতে শিখেছি
শুধু তোমায় বিদায় দিতে হবে স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি……

Raasta.(ranjana ami ar asbo na)

চলছে আমার রাস্তা,রাস্তা উদ্দেশ্যহীন
উড়িয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে জুড়ে
আরও একটা দিন
আরও অনেক অনেক দূর পরের শহর
চলতে হবে আমায় রাত্রি ভোর
নেই যে আমার কোন অবসর
যদি খুঁজে পাওয়া যেত একটা ঘর।

আমি বেরিয়ে পড়েছিলাম ফেলে হাজার পিছু টান
ছিল না গন্তব্য,শুধু ছিল অনেক গান
সেই গান গুলো আজ গেছে কোথায় পড়ে
আমার অজান্তে রাস্তার ধারে
যদি খুঁজে পাওয়া যেত হঠাৎ করে
যদি খুঁজে পাওয়া যেত ঠিকানা

কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?

একটা হারিয়ে যাওয়ার উন্মাদনা
স্বাধীন থাকার যে হাত
ভেঙ্গেছিলাম ঘর করে সম্পর্ক বরবাদ
সেই ঘরের উঠান ডাকছে আবার আমায়
সেই ঘরের গন্ধ,ঘরের উষ্ণতায়
একটা ফর্সা চাদর,ফর্সা বিছানায়,
একটা রেডিও তে ছেলেবেলার গান

ঝাপসা আমার হাইওয়ে,ঝাপসা আজ হৃদয়
ক্লান্ত এই শরীর আজ থেমে যেতে চায়
তবু এই রাস্তা সে তো থামতে দিবে না
এই রাস্তা কোথাও পৌঁছে দেবে না
এই ক্লান্তি সে তো রাস্তা ভাবে না
রাস্তা কেবল রাস্তাই থেকে যায়।

কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি আদৌ আছে ,বসে আছে এ রাস্তায়?
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?

Tumi asbe bole tai

তুমি আসবে বলে তাই
আমি স্বপ্ন দেখে যাই
আর একটা করে দিন চলে যায়
সুদিন আসবে বলে ওরা আগুন জ্বালায়
আর হাজার হাজার মানুষ মরে যায়
দেখবে বলে আকাশটাকে মাথা উঁচু করে
শুধুই নোংরা কালো ধোঁয়া ঢেকে যায়
কাছে আসবে বলে অন্ধকারে হাতড়ে মরে ওরা
তবু শরীর দুটো থাকে আলাদা

আমার মনটা তবু আশা করে যায়
এই মনটা তবু ভালবাসতে চায়
এই মন, আশা করে যায়

সময় ছুটে চলে
আমি আটকে পড়ে রই
আমার রাস্তা আঁটে আমি আঁটি না
চোখে নিয়ে স্বপ্ন, বুকে নিয়ে অনেক অনেক কথা
আমার বয়স বাড়ে, আমি বাড়ি না
তুমি আসবে বলে বলে তাই
আমি স্বপ্ন দেখে যাই
আর একটা করে দিন চলে যায়
সুদিন আসবে বলে ওরা আগুন জ্বালায়
আর বেকার কিছু মানুষ মরে যায়

আমার মনটা তবু আশা করে যায়
এই মনটা তবু ভালবাসতে চায়
এই মন, আশা করে যায়

Sobai keno gaite gele

সবাই কেন গাইতে গেলে প্রেমের গান’ই গায়
ঘুরে ফিরে ভালোবাসার কথাটাই
আমি অন্য কিছু গাইবো বলে তোমার কাছে এসে
সবাই কেবল সবাই হয়ে যাই

সবাই আগলে রাখে তাদের শরীরের ভেতরে
ভালোবাসার সত্যি কথাটাই
আমি অন্য কিছু করবো বলে তোমার কাছে এসে
আমি সবাই কেবল সবাই হয়ে যাই

তাই সবার মতো লিখছি আমি একটা প্রেমের গান
সবার মতো তোমাকেই চাই
বলছি তোমায় একই কথা গীতিবিতান
আমি অন্য কিছু নই আমি সবাই

আমার আকাশ আমি যতই হাজার অন্য রঙে আকি
আকাশ সে তো নীল’ই থেকে যায়
আমার সাদা কালো শহর সেতো সাদা-কালো’ই থাকে
আমি যত রঙিন নিয়ন জ্বালাই

কত হাজার হাজার শরীর আমায় রোজ ছুয়ে যাচ্ছে
তাদের গন্ধ আমার নাকে মুখে গায়
নিয়ে চলছি আমি তাদের লজ্জা আমার দু’চোখে
আমায় নিয়ে চলছে যে সবাই

তাই সবার মতো উঠতে হবে আমাকেও কাধে
হয়ে যেতে হবে একই গঙ্গায়
আমি অন্য কারো হাতের ভেতর একমুঠো ছাই
আমি অন্য কিছু নই আমি সবাই

voy dekhay na

ভয় দেখাস না প্লিজ
আমি বদলে গিয়েও ঘরে ফিরতে চাই
তবু তোর দু চোখের রোদ
ফিরতে মানা করবে সেই, ভয় পাই
এই শরীরটাই যা তুই চিনিস
বাদ বাকী,আমি আনকোরা
জোর করে তবু সই পাতাই
গল্প বানাই, মন গড়াই
আমার অন্য রাজ্যপাট
আমি ঘর পালানো পাখির ছদ্মবেশ
তোর কাঁধেতে বসে
আর গান শোনাবো, পাই যদি আদেশ

অনেক রাতের পর,
খেলনা বাটির লোভ দেখাস যদি
আবার ফিরবো ঘর
ঠোঁট ফুলিয়ে ছোট্ট এই নদী।
ভুলে গেলে তুই
হাতড়ে ফিরবো অন্ধকারের গান,
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান।
তুই এক ফালি আকাশ,
আমি ভুল করে ঢোকা একলা শঙ্খচিল।
তুই আমার বাতাস, তবু ফিরতে হবে বল দেখি মুশকিল
জানি ফেরার পর তুই আমায়, হাটতে দেখলেও চিনবি না
তোর দেওয়া এই ডাকনামে ভুল করেও আর ডাকবি না।
শুধু কোন বাদলা দিনের ভোর,
তোর স্বপ্নে উড়বে কাঁচপোকাদের ভুল
ঘুমে কাঁদবি তুই,আর গুনব আমি বদলানোর মাশুল।

অনেক রাতের পর,
খেলনা বাটির লোভ দেখাস যদি
আবার ফিরবো ঘর
ঠোঁট ফুলিয়ে ছোট্ট এই নদী।
ভুলে গেলে তুই
হাতড়ে ফিরবো অন্ধকারের গান,
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান।

ভয় দেখাস না প্লিজ
আমি বদলে গিয়েও ঘরে ফিরতে চাই
তবু তোর দু চোখের রোদ
ফিরতে মানা করবে সেই, ভয় পাই

mone porle okaron

মনে পড়লে অকারণ
কাউকে বলা বারণ
রিমঝিমঝিম বরষায়
তুই আজ ভেজার কারণ
মেঘেদের ডাকবাক্সে
তোর চিঠি পৌছে দিলাম
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।

লাস্ট ট্রেন হলে মিস
তোর কাছে করি আব্দার
একজোড়া ট্রাম তার
তুই পাখিদের সংসার
রাতজাগা নাকি
তোর ঘুমে পাঠালাম।
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।

এই বাসস্টপ কেউ নেই
তুই ভেসে আসা গান
দলছুট পাখিদের তুই হলি
খোলা আসমান
ভর দিয়ে তোর ডানায়
নতুন উড়াল দিলাম।
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।

Ekbar bol

যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ
সেখানেই মুখ ডুবিয়ে খুঁজতে চাওয়া আমারি অভ্যেস।
যেখানে রোদ পালানো বিকেল বেলার ঘাস
সেখানেই ছুটবো ভাবি কিনব গল্প ভুল হবে বলার।
এই বুঝি ফসকাল হাত আর কালো রাত
করে সময় গেল আয়োজনে।
প্রত্যেক দিন ভয় পাওয়া সব ইচ্ছেগুলো
অনেক ঝড়ের শব্দ শোনে
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, তোর কেউ নেই
যেভাবে দৃশ্য অনেক গিলছে আমায় রোজ
সেভাবেই আড়াল পেলে ভাঙছি আমি হচ্ছি যে নিখোঁজ।
যেখানে ডাক পাঠালে মৃত দেহের ভিড়
সেখানেই তুলছি ছবি , টলছি নেশায় আসছি আবার ফিরে।
এই বুঝি ফসকাল হাত আর কালো রাত
করে সময় গেল আয়োজনে।
প্রত্যেক দিন ভয় পাওয়া সব ইচ্ছেগুলো
অনেক ঝড়ের শব্দ শোনে।
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, তোর কেউ নেই
একবার বল একবার বল একবার বল নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, তোর কেউ নেই
এ…হে তোর কেউ নেই, ও…হো তোর কেউ নেই আ…হা…

Bhindeshi Tara

আমার ভিনদেশী তারা
একা রাতেরই আকাশে
তুমি বাজালে একতারা
আমার চিলেকোঠার পাশে
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্পো বলো কাকে
আমার রাত জাগা তারা
তোমার অন্য পাড়ায় বাড়ী
আমার ভয় পাওয়া চেহারা
আমি আদতে আনাড়ী

আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
আমার চোখ বেধে দাও আলো
দাও শান্ত শীতল পাটি
তুমি মায়ের মতই ভালো
আমি একলাটি পথ হাটি
আমার বিচ্ছিরি এক তারা
তুমি নাও না কথাখানি
তোমার কিসের এতো তাড়া
সে রাস্তা পার হবে সাবধানি

তোমার গায়ে লাগেনা ধুলো
আমার দু-মুঠো চাল চুলো
তোমার গায়ে লাগেনা ধুলো
আমার দু-মুঠো চাল চুলো
রাখো শরীরে হাতে যদি
আর জল মাখো দুই হাতে
প্লীজ ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে
আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোয়া বাড়ী
আমি পাইনা ছুতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারী

আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোয়া বাড়ী
আমি পাইনা ছুতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারী

হুম হুম………………

Ayna din antaheen

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর

ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর
ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

ব্যস্ত ট্র্যাফিক পাগল মাফিক হরদম রংরুট
কার্নিশজুড়ে বৃষ্টি পাঠায় বিষণ্ণ চিরকুট
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

ফুটপাথে শোওয়া লোক রেলিঙের ডালে কাক
কিছু খুচরো ছড়ালো, হারালো কোন অজানাতে
বাসি কিছু বেল ফুল
ছুটি হওয়া ইশকুল
তুমি হেঁটেছ, রেখেছ, বেঁধেছ আঁচল-প্রাতে
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর
ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

দেখে অফিসের ভিড়, চিল ভেসে আছে স্থির
দূর বাসের পিছনে আজ নগদ আর কাল ধার
কলে চলে এলো জল
মাঠে ভুলে যাওয়া বল
তুমি বুঝেছ, খুজেছ, ঠিকানাবিহীন খালপাড়
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর
ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

jao pakhi bolo

যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ
আঙ্গুলের কোলে জ্বলে জোনাকি ,
জলে হারিয়েছি কানসোনা কি ?
জানলায় গল্পেরা কথা মেঘ
যাও মেঘ চোখে রেখো এ আবেগ
যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ

যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ
আঙ্গুলের কোলে জ্বলে জোনাকি ,
জলে হারিয়েছি কানসোনা কি ?
জানলায় গল্পেরা কথা মেঘ
যাও মেঘ চোখে রেখো এ আবেগ
যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে
হুম……

যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ
আঙ্গুলের কোলে জ্বলে জোনাকি ,
জলে হারিয়েছি কানসোনা কি ?
জানলায় গল্পেরা কথা মেঘ
যাও মেঘ চোখে রেখো এ আবেগ
যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ.....

Sokal ase na (antaheen)

সকাল আসে না , আয়না হাসে না, জানলা খোলা মেঘ, সে ভালবাসে না
না কিছু ভাবি না, রোদ এলো কিনা, স্নানের জলে গান, আমি না তুমি না
দিনের পাখিরা ছুঁয়েছে ডানা, রাতের পরীরা ভুল ঠিকানা
সকাল আসে না , আয়না হাসে না, একলা খোলা বই, সে ভালবাসে না

জাগে না জাগে না তার চোখ
জাগে না জাগে না তার চোখ
ডেকে দেয়া টুকু আমার হোক, অচেনা এ অবেলায়
জাগে না জাগে না তার চোখ
জাগে না জাগে না তার চোখ
ডেকে দেয়া টুকু আমার হোক, অচেনা এ অবেলায়

দিনের পাখিরা ছুঁয়েছে ডানা, রাতের পরীরা ভুল ঠিকানা
গোধূলি ভাঙ্গা গা, আমি না তুমি না
সকাল আসে না , আয়না হাসে না, একলা খোলা বই, সে ভালবাসে না.

Nodir opare

নদীর ওপারে ঘন কুয়াশায়
কুশায়ার ফুল কুঁড়াতে এলে
মাঝখানে আজ বহমান পানি রচে ব্যবধান
রচে ব্যবধান তোমার আমার,
রচে ব্যবধান দুই বাংলার
তাই কি এলে
ওপারের মেয়ে সব কাজ ফেলে
তাই কি এলে
কুয়াশার সেতু বাধবে বলে
তাই কি এলে

রেলগাড়ি ওই চলে গেল শোন রাত্রি চিড়ে
কথা ডুবে গেলো অতল তিমিরে
অপলক তুমি চেয়ে আছ মুখে
অপরিচিতা
কুয়াশায় গড়া অলিক মানবী
কুয়াশাবৃতা
ভেঙে-ভেঙে যায় কুয়াশার সেতু,
উঠেছে হাওয়া
মুহূর্ত যায় ছিঁড়ে
চলে গেলে গল্প-কায়া
পাগল হাওয়া
রক্তে জোয়ার হল দুর্বার
তোমাকে চাওয়া, তোমাকে চাওয়া।

কাফের, তোমাকে ভালবাসলাম বলে
ছায়া মরে গেল,
তারা নিভে গেল,
সাগর উঠল জ্বলে
মহাকাশ জুড়ে উল্কাবৃষ্টি,
শিহরিত হল সকল সৃষ্টি
পাহাড় পড়ল টলে
এ দুঃসময়, এ ঘোর প্রলয়,
কেবল তোমাকে ভালবাসলাম বলে
কাফের, তোমাকে ভালবাসলাম বলে
অকালবোধনে বসন্ত এল,
কৃষ্ণচূড়া অবনত হল ফুলে।
চরাচর জুড়ে এল হাওয়া উত্তাল,
নাচে ধমনীতে শোণিতের স্রোতে উদ্দাম মহাকাল,
কাফের, তোমাকে ভালবাসলাম বলে।