Tuesday, 22 October 2013

Meri bheegi bheegi si

Meri bheegi bheegi si, Palkon pe reh gaye
Jaise mere sapne bikharke
Jale mann tera bhi kisike milan ko
Anamika tu bhi tarse
Meri bheegi bheegi si

Meri bheegi bheegi si, Palkon pe reh gaye
Jaise mere sapne bikharke
Jale mann tera bhi kisike milan ko
Anamika tu bhi tarse
Meri bheegi bheegi si

Tujhe bin jaane bin pehchane
Maine hriday se lagaya(2)
Par mere pyar ke badle mein tu ne
Mujhko ye din dikhlaya
Jaise birha ke rut maine kaate tarap ke aahe bhar bhar ke
Jale mann tera bhi kisi ke milan ko
Anamika tu bhi tarse
Meri bheegi bheegi si

Aag se naata nari se rishta
Kahe mann samajh na paaya(2)
Mujhe kya hua tha ek bewafa pe haye mujhe kyu pyaar aaya
Teri bewafai pe hase jag sara gali gali guzre jidhar se
Jale mann tera bhi kisi ke milan ko
Anamika tu bhi tarse
Meri bheegi bheegi si

Meri bheegi bheegi si, Palkon pe reh gaye
Jaise mere sapne bikharke
Jale mann tera bhi kisike milan ko
Anamika tu bhi tarse
Meri bheegi bheegi si

তুমি না থাকলে

তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মন কষাকষি, করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।

তুমি না থাকলে চাঁদটার গায়ে পড়ে যেত মরচে
তুমি না থাকলে কিপটে লোকটা হতো না যে খরচে
তুমি না থাকলে স্বপ্নের রং হয়ে যেত খয়েরী
বনবন করে দুনিয়াটা এই পারতো না ঘুরতে
তুমি না থাকলে রবীন্দ্রনাথ কালির দোয়াত মাথায় ঠুকে হতো কুপোকাত
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।

তুমি না থাকলে সুমন কেলেঙ্কারী করতো কত
গীটার ফেলে গুয়েতেমালায় নামটা শেখাতে হতো
পাশের বাড়ির মেয়েটা পাশের পাড়ার ছেলের সাথে
তুমি না থাকলে এইভাবে কি বাড়িটা ছেড়ে পালাতো
তুমি না থাকলে তাজমহলটা বানানোই হতো না
লাঠালাঠি এই কাটাকাটি কিছু থামানোই যেত না
তুমি না থাকলে মোনালিসা কবে হয়ে যেত গম্ভীর
তুমি না থাকলে তোমার চিঠি জমানোই হতো না
তুমি না থাকলে রোমিও কবে
হোমিওপ্যাথির দোকান খুলে জমিয়ে দিতো
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।

বেঁচে থাকার গান

যদি কেড়ে নিতে বলে কবিতা ঠাসা খাতা
জেনো কেড়ে নিতে দেবোনা
যদি ছেড়ে যেতে বলে শহুরে কথকতা
জেনো আমি ছাড়তে দেবোনা

আর আমি আমি জানি জানি চোরাবালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ
আর আমি আমি জানি প্রতি রাতে হয়রানি , হারানো শব্দের খোঁজ

আর এভাবেই নরম বালিশে, তোমার ওই চোখের নালিশে
বেঁচে থাক রাত পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান

আর এভাবেই মুখের চাদরে, পরিচিত হাতের আদরে
সুখে থাক রাত পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান

যদি নিমেষে হারালে জীবনে পরিপাটি
তবু হেরে যেতে দেবোনা
যদি বেচে দিতে বলে শিকড়ে বাধা মাটি
জেনো আমি বেচতে দেবোনা

আর আমি আমি জানি জানি চোরাবালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ
আর আমি আমি জানি প্রতি রাতে হয়রানি , হারানো শব্দের খোঁজ

আর এভাবেই নরম বালিশে, তোমার ওই চোখের নালিশে
বেঁচে থাক রাত পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান

আর এভাবেই মুখের চাদরে, পরিচিত হাতের আদরে
সুখে থাক রাত পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান....

গভীরে যাও, আরো গভীরে যাও

গভীরে যাও, আরো গভীরে যাও ।
এই বুঝি তল পেলে, ফের হারালে, প্রয়োজনে ডুবে যাও ।
জানলা জুড়ে মানুষের কান,
গলির ভাঁজে ভ্রমরের প্রাণ ।
গণিকার ঘাম লেগে থাকে তার ডানায় ।
আর অন্ধকারে ছটফটিয়ে মুখ ফেরানোর দায়,
তার উড়ে আসা ধুসর চোখে সিগারেটের ছাই ।

তাই গভীরে যাও, আরো গভীরে যাও ।
গভীরে যাও, আরো গভীরে যাও ।
এই বুঝি তল পেলে ফের হারালে, প্রয়োজনে ডুবে যাও ।

নদীর বুকে, ঘরের খোঁজে,
কাটেনি দিন খুব সহজে ।
বহু বছর মেখেছি রুপোর বালি ।
সেই রুপোর লোভে বাড়ি ফেরা যাবে রসাতল ।
আর ভেজা শরীর চোরা স্রোতে কামড়ে ধরে জল ।

তাই গভীরে যাও, আরো গভীরে যাও ।
গভীরে যাও, আরো গভীরে যাও ।
এই বুঝি তল পেলে ফের হারালে, প্রয়োজনে ডুবে যাও ।

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়ে।
আট কুঠুরী নয়
দরজা আটা মধ্যে মধ্যে
ঝরকা কাঁটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায়ে।
কপালের ফের নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার
খাঁচা ভেঙ্গে পাখিয়ামার কোন
খানে পালায়।
মন তুই রইলি খাঁচার আসে
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।

মনে পড়ে রুবি রায়

মনে পড়ে রুবি রায়
কবিতায় তোমাকে,একদিন কত করে ডেকেছি
আজ হায় রুবি রায়,ডেকে বল আমাকে
তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি ।।

রোদ জ্বলা দুপুরে,সুর তুলে নূপুরে
বাস থেকে তুমি যবে নাবতে ।।

একটি কিশোর ছেলে,একা কেন দাঁড়িয়ে
সে কথা কি কোন দিন ভাবতে ।

মনে পড়ে রুবি রায়
কবিতায় তোমাকে,একদিন কত করে ডেকেছি
আজ হায় রুবি রায়,ডেকে বল আমাকে
তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি ।।

দ্বীপ জ্বলা সন্ধ্যায়
দ্বীপ জ্বলা সন্ধ্যায়,হৃদয়ের জানালায়
কান্নার খাঁচা শুধু রেখেছি ।।
ও.. পাখি সে তো আসেনি,তুমি ভালবাসনি
স্বপ্নের জাল বৃথা বুনেছি।

মনে পড়ে রুবি রায়
কবিতায় তোমাকে,একদিন কত করে ডেকেছি
আজ হায় রুবি রায়,ডেকে বল আমাকে
তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি ।।

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না

ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
আমরা আর পাব না, আর পাব না।
"তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না" (২)
ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় আর পাবো না
ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় আর পাবো না
না না না আর পাবো না
"তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না "(২)

ভূবনো মোহনো গোরা, কোন মণিজনার মনোহরা
মণিজনার মনোহরা
ওরে রাধার প্রেমে মাতোয়ারা চাঁদ গৌড়
ধূলায় যাই ভাই গড়াগড়ি
যেতে চাইলে যেতে দেবো না, না না না। (২)
যেতে দেবো না।
তোমায় হৃদয় মাঝে......
তোমায় হৃদয় মাঝে রাখিবো ছেড়ে দেবো না
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না।

"যাবো ব্রজের কুলে কুলে" (২)
আমরা মাখবো পায়ে রাঙ্গাধুলি
মাখবো পায়ে রাঙ্গাধুলি
ওরে পাগল মন...
যাবো ব্রজের কুলে কুলে
মাখবো পায়ে রাঙ্গাধুলি
"ওরে নয়নেতে নয়ন দিয়ে রাখবো তারে" (২)
চলে গেলে... চলে গেলে যেতে দেবো না,
না না... যেতে দেবো না
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না।
তোমায় বক্ষ মাঝে রাখিবো ছেড়ে দেবো না।

যে ডাকে চাঁদ গৌড় বলে, ওগো ভয় কিগো তার ব্রজের কুলে
যে ডাকে চাঁদ গৌড় বলে, ভয় কিগো তার ব্রজের কুলে
ভয় কি তার ব্রজের কুলে
"ওরে দ্বিজ ভূষণ চাঁদ বলে" (২)
চরন ছেড়ে দেবো না, না না না......
ছেড়ে দেবো না
তোমায় বক্ষ মাঝে......
তোমায় বক্ষ মাঝে রাখিবো ছেড়ে দেবো না।
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না।
ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় আর পাবো না
ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
আর পাব না না না না, আর পাব না।
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না
তোমায় বক্ষ মাঝে রাখিবো ছেড়ে দেবো না।
তোমায় হৃদ মাঝারে...

Titanic

Every night in my dreams
I see you, I feel you
That is how I know you go on
Far across the distance
And spaces between us
You have come to show you go on

Near, far, wherever you are
I believe that the heart does go on
Once more you open the door
And you're here in my heart
And my heart will go on and on

Love can touch us one time
And last for a lifetime
And never let go till we're one

Love was when I loved you
One true time I hold to
In my life we'll always go on

Near, far, wherever you are
I believe that the heart does go on
Once more you open the door
And you're here in my heart
And my heart will go on and on

There is some love that will not go away

You're here, there's nothing I fear
And I know that my heart will go on
We'll stay forever this way
You are safe in my heart
And my heart will go on and on

জাত গেল lalan

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবই দেখি তা না না না....

আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বলো না...

ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো সুচি
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাউকে ছাড়বে না...

গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়
লালন বলে জাত কারে কয়
সে ঘোরও তো গেল না...

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা.......!

Sunday, 29 September 2013

আধো-আলো-আঁধারের

আধো-আলো-আঁধারের কোন এক নগরের
মেস ঘরে থাকি চারজন
ট্রাম লরি টেম্পোরা শব্দের আলপনা
দিয়ে ঘিরে রাখে সারাখ’ন
রাত কিবা কিবা দিন ঘেমো ঘরে আলোহীন
ভৌতিক কেরাণীরা রই
আবছায়ে নড়িচড়ি থুতনিতে রুখু দাড়ি
এই কোলাহলে নিরজন

অজানা ইথার শরীর শুধুই দেওয়াল জুড়ে
কাটে সারাদিন সময়ের কঠিন করাত
নিশাচর ইঁদুরেরা ছিঁড়ে চলে দিনভরা রোদহীন ছায়ার বনাত
তবু সব শনিবারে তারা সব আসে ফিরে
ছাতে উঠে যায় চারজন
টিভির অ্যান্টেনা যেন বা মাছের কাঁটা
বেড়ালের তরে আয়োজন

শহর আলোয় উজল
ধোঁয়াশায় আকাশ পিছল
ছাদে এসে নামে ভীনগ্রহী ফ্লাইং সসার

শহর আলোয় উজল
ধোঁয়াশায় আকাশ পিছল
ছাদে এসে নামে ভীনগ্রহী ফ্লাইং সসার

জেনো সব কেরানীরা
এইভাবে ঘোরে তারা
পড়ে থাকে যতো অফিসার

এই সুরে বহুদূরে চলে যাবো

 এই সুরে বহুদূরে চলে যাবো, চলে যাবো-
পথ দেখাবো পথ দেখাবো
আসলে এসো না এই নতুনপুরে
আর ভাবনা নেই
আপনাতেই সুর ঝরাবো সুর ঝরাবো
সব ঝরাবো সব ঝরাবো
সবকিছু যা আছে পুরোনোতেই।

ফিরবো না পিছনে
আর অন্ধকারে
শব্দবিহীন শব্দের এই আঁধারে।

আর দেরি নয় দেরি নয়।
মন চলে মন চলে
ছাউনিতলে ছাউনিতলে
যেখানে পাবো ভোরের স্বপ্নজয়।

দৃশ্যমান মহীনের ঘোড়াগুলি

দৃশ্যমান মহীনের ঘোড়াগুলি

যে গেছে বনমাঝে চৈত্র বিকেলে
যে গেছে ছায়াপ্রাণ বনবীথিতলে
বন জানে অভিমানে গেছে সে অবহেলে
যে গেছে অশ্রুময় বন-অন্তরালে

আকাশে কেঁপেছে বাঁশিসুর
আঁচলে উড়েছে ময়ূর
চলে যাই বলেছিলে চলে যাই
মহুল তরুর বাহু ছুঁয়ে
যে গেছে অশ্রুময় বন-অন্তরালে

সে বুঝি শুয়ে আছে চৈত্রের
হলুদ বিকেল
যেখানে চূর্ণ ফুল ঝরে তার আঁচলে
যেখানে চূর্ণফুল ঝরে তার
কাফনে

আমার হিয়া কাঁপে

কাঁপে কাঁপে
আমার হিয়া কাঁপে

এ কি যে কান্ড
এ কি যে কান্ড
এ কি কান্ড সব পন্ড এ ব্রহ্মান্ড
শূণ্য লাগে
তুমি ছাড়া শূণ্য লাগে
কাঁপে কাঁপে…….

কি যে ছাই চিন্তা
কি যে ছাই চিন্তা
কি ছাই চিন্তা ওহে কান্তা পোড়ে প্রাণটা
দুঃখ জাগে
তুমি ছাড়া শূণ্য লাগে
কাঁপে কাঁপে……..

কপালটা মন্দ
কপালটা মন্দ
কপাল মন্দ লাগে ধন্দ কাটে ছন্দ
বিরহ রাগে
তুমি ছাড়া শূণ্য লাগে
কাঁপে কাঁপে…….

শিরে সংক্রান্তি
শিরে সংক্রান্তি
হে অশান্তি দাও ক্ষান্তি সব ভ্রান্তি
দূর হোক আগে
কফি ছাড়া শূণ্য লাগে
ক্যাফে ক্যাফে আমার প্রিয়া ক্যাফে

haay bhalobashi

ভালোবাসি জ্যোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে
ছায়া ঘেরা মেঠোপথে ভালোবাসি হাঁটতে
দূর পাহাড়ের গায়ে গোধূলীর আলো মেখে
কাছে ডাকে ধান খেত সবুজ দিগন্তে

তবুও কিছুই যেন ভালো যে লাগেনা কেন
উদাসী পথের মাঝে মন পড়ে থাকে যেন
কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও

ভালো লাগে ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে ভাসতে
প্রজাপতি বুনোহাঁস ভালো লাগে দেখতে
জানলার কোণে বসে উদাসী বিকেল দেখে
ভালোবাসি একমনে কবিতা পড়তে

যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে
শুধুই ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে প্রান্তরে
তখন ভালোলাগেনা লাগে না কোন কিছু
সুদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে আজ সব কিছু

ভালোবাসি পিকাসো বুনুয়েল দান্তে
বিট্‌ল্‌স্‌ ডিলান আর বেথোফেন শুনতে
রবিশঙ্কর আর আলি আকবর শুনে
ভালোলাগে ভোরে কুয়াশায় ঘরে ফিরতে

সংবিগ্ন পাখিকূল

রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে শুধু কেউ নেই শূন্যতা
আকাশে তখন থমকিয়ে আছে মেঘ
বেদনাবিধুর রাডারের অলসতা- কিঞ্চিৎ সুখী পাখীদের সংবেগ

এমন বিশাল বন্দরে বহুকাল
থামেনি আকাশবিহারী বিমান যান
এখানে ওখানে আগাছার জঞ্জাল
শূন্য ডাঙায় বায়ু বীতগতিবেগ
এমন ছবিতে কিশোরী মানায় ভালো
ফ্রকে মুখগুঁজে কাঁদে চুল এলোমেলো

চারণ দেখেছে এই ছবিখানি তাই
হৃদয়ে জমেছে শূন্যতা উড়ু মেঘ
চারণ ভোলেনা এই ছবিখানি তাই
বড় মায়া লাগে বড় তার উদ্বেগ

আকাশে তখন ঝড় এসে যাবে বলে
থমকিয়ে আছে মেঘ

মেরুন সন্ধ্যালোক

মেরুন সন্ধ্যালোক

দিন চলে যায় সন্ধ্যা বেলায়
বসে একা উদাস হাওয়ায়
যতো ভাবি সুর বন পথ দূর
সুবাসী বায়ে, মহুয়া মুকুল

বেঁকে গেছে পথ গভীর বনে
মাতাল করে বিহন জনে
ভেসে আসে গান সাঁঝুলি আলোয়
মহুয়া-মেদুর শিমুলিয়া সুর

কলকাতা – ও – কলকাতা

ভেসে আসে কলকাতা কুয়াশা-তুলিতে আঁকা
শহরতলির ভোর মনেপড়ে
কাঠচাঁপা আর কৃষ্ণ-চূড়ার শৈশব শুধু খেলা করে
স্মৃতির ভেতর ট্রামের ধ্বনি বিবাগী সুর গড়ে
এই প্রবাসে ক্যালেন্ডারের পাতাই শুধু ঝরে
কলকাতা – ও – কলকাতা

গুলতি ছোঁড়া ঘুড়ি ওড়ার
অগস্ট দুপুর কে দেবে ফিরে
পরবাসের হৃদয় জুড়ে
এই অভিমান শুধু ভ’রে
স্টীমার ঘাটের ভোঁ কেন আজ
আবার উদাস করে
ভেসে আসে কলকাতা শুধু কুয়াশার ভোরে
কলকাতা – ও – কলকাতা

কথা দিয়া বন্ধু

কথা দিয়া বন্ধু ফিরা না আইলা
এ কেমন কথা হায় কি দশা
কানে বাজে তোমার কথা
বুকে বাজে তাই ব্যথা
কানের কথা বুকের ব্যথা হইয়া
আমার প্রাণে জাগায় যে হতাশা
হায়! হায়! সব হারাইয়া কান্দি তো
আশার ছলনায় ভুইল্যা গিয়া
আজি পথে বসিলাম গো
কবে তুমি ফিরা আসিবা বন্ধু
রইলাম তার আশায় হায় দুরাশা
ভাইবা হইলাম আকুল

আর শুকায় যে মালার ফুল
সঙ্গে শুকাইলো মোর প্রাণটা আর মনটা
করি সব কাজে বিষম ভুল
হায় সব হারাইয়া…

পড়াশোনায় জলাঞ্জলি

পড়াশোনায় জলাঞ্জলি ভেবে মূর্খ বলছো কি
তোমরা বলছো আমাদের জীবনের চার আনাই
ফাঁকি
হে ষোল আনা থেকে যদি চার আনা যায়
হিসেব দাঁড়ায় এসে বারো আনায়

কিন্ত বারো আনাতে আমরা খুশী
আমাদের চাওয়ার চেয়ে অনেক বেশী
মানিনা মানবোনা
করছো ছি ছি ছি
তোমরা বলছো অবাধ্য জীবনের
আট আনাই ফাঁকি

হে ষোল আনা থেকে যদি আট আনা যায়
হিসেব দাঁড়ায় এসে সেই আট আনায়
কিন্ত আট আনাতে আমরা খুশী
আমাদের চাওয়ার চেয়ে অনেক বেশী

আমাদের পরকাল ঝরঝরে ভেবে দুঃখ করছ কি?
তোমরা বলছো এলোমেলো জীবনের
বার আনাই ফাঁকি

আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি

আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি
তার নীল দেয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারি
তার কাঁচ দেয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারি
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি
চিলেকোঠায় বসা বাদামী
বেড়াল বোনে শূণ্যে মায়াজাল
ছাইরঙা পেঁচা সেই চোখ টিপে
বসে আছে কতনা বছরকাল
কালো দরজা খুলে বাইরে তুমি এলে
বাগানের গাছে হাসি ছড়াবে বুনো ফুলে
সেই বাড়ির নেই ঠিকানা
শুধু অজানা লাল সুরকির পথ
শূণ্যে দেয় পাড়ি

বাঁকানো সিঁড়ির পথে সেখানে নেমে আসে
চাঁদের আলো
কাউকে চেনো না তুমি তোমাকে চেনে না কেউ
সেই তো ভালো
সেথা একলা তুমি গান গেয়ে ঘুরে ফিরে
তোমার এলোচুল ঐ বাতাসে শুধু ওড়ে
সেই বাড়ির নেই ঠিকানা
শুধু অজানা লাল সুরকির পথ শূণ্যে দেয় পাড়ি
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি

ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি

ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি
খিদের থেকেও স্পষ্ট
কাজের মধ্যে অকাজ খালি
মনের মধ্যে কষ্ট
স্বপ্ন হয়ে যখন তখন আঁকড়ে আমায় ধর
তাইতো বলি আমায় বরং ঘেন্না কর ঘেন্না কর

গুনগানের হাজার বুলি শুধুই সময় নষ্ট
আঁকছো ছবি সমস্ত দিন রঙ সবই অস্পষ্ট

সুখের থেকেও হাজার গুনে দুঃখ অনেক ভালো
তাইতো বলি আমায় বরং ঘেন্না কর ঘেন্না কর

আজ চালাক আমি কাল বোকা
মহৎ প্রেমিক ন্যাকা ন্যাকা
আমার আসল চেহারা কি চিনতে তুমি পার?
চিনতে যদি পেরেই থাকো ঘেন্না কর ঘেন্না কর

আমি ডানদিকে রই না

আমি ডানদিকে রই না
আমি বামদিকে রই না
আমি দুই দিকেতেই রই
পরান জলাঞ্জলি দিয়া রে
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে
কবিতা করি আঁকিবুকি করি
আমি কেমনি মানুষ হই
আমার মহান হবার সাধই জাগে
মহান হতে পারিনে
আমি যে সাধ আহ্লাদ ছাড়িনে

মহাচিন্তায় আছি বন্ধু রে
আমি চলে গেলে কি পড়ে রবে
আমি আগার দিকে যাই না
আমি গোড়ার দিকে যাই না
আমি দুইদিকেতেই রই
কিছু থুইয়া কিছু থুইয়া রে
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে…

আমি কেমনি মানুষ হই
আমার দীর্ঘশ্বাসে বাতাসে মিশে ছেড়ে যায় আমারে
না জানি কিসের অভিমানে

মহাচিন্তায় আছি বন্ধুরে…

আমি উপর দিকে যাই না
আমি নীচের দিকে রই না
আমি মাঝপথে ঘুরি
কিছু দিয়া কিছু নিয়া রে
না আমি বড় রাস্তায় দাঁড়ায়ে…

বন্ধু ভাবো কি?

মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাবো কি?
কখনো কি আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি
নাকি ভেবে নেব আজও তুমি আমায় চেনোনি?

ভালো লাগেনা তোমায় এ কথা বলেছি বার বার বার
তোমার মন ভেঙ্গে যাবে হেসেছিলাম আমি আবার
সবই ছিল ভালোবাসা বুঝলেনা বুঝলেনা
বুঝতে যদি দেখতে আমায় লাগছে অচেনা

হাসছি আমি বলছি কথা, ভাবছো দেখি না তোমায়
তুমি আমার হৃদয়ে আর দুর থেকে তাকিয়ে দেখায়
ক্ষণিকের বন্ধুরা যখন আর থাকবে না
খুঁজে দেখো পাবে আমায় আমি সেই চিরচেনা

তুমি আমি দিয়েছি পাড়ি দুজনে এপার ওপার
সবই আমার স্বপ্ন আর সুখের ছবি কল্পনার
জানি তুমি আমায় এখনো চিনতে পারো নি
ভালোবেসে ডাকবে যখন আসব তখনি

মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাবো কি?
কখনো কি আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি
নাকি ভেবে নেব আজও তুমি আমায় চেনোনি?

অজানা উড়ন্ত বস্তু

শুধু আজ নয় প্রতিদিন
সাত পাঁচ ভাবনা আর দুঃস্বপ্ন মেখে ঘুম ভাঙে আমার
তোমরা কেমন আছো?
তোমরা কি আমলকি গাছের ছায়ায় মোষের বিষন্ন ডাক শুনে
আনমনা হও আগেকার মতো?

শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন

শুধু আজ নয় প্রতিরাত
তোমাদের পরকাল ভেবে
তোমাদের কথা ভেবে ঘুমহীন রাত জাগি
নগরবাসীরা শোনো
তোমাদের অন্যায়ে আমাদের অবহেলা মিশে কোন নরক মাতায়
তা জানো কি?
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন

শুধু শেষ নয় শুরুতেই
বড়শির আঁকশিতে বিঁধে, আকাশের দিকে পিঠ হাজার চড়ক ঘুরছে
নিচে শত হাততালি মেরে
উল্লাসে ফেটে গেছ কতোবার
ঝুলন্ত মানুষের ব্যথাছবি রাঙা চোখে চেয়ে
তা মানো কি?

শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন
শোনো সুধীজন, শোনো প্রিয়জন

oh ganga

ভেবেছিলাম এগিয়েছি যে অনেক
বয়ে বাসনা মোর একের পরে এক
মনে হঠাৎ যেন আজ হলো খেয়াল
কেটেছে কাল ভেসে শুধুই আমার স্রোতেই
দোলায়
ও গঙ্গা
তুমি চলেছো ঢেউয়ে ঢেউয়ে কোথায়?
কখনো জোয়ারে আর কখনো ভাটায়
জানি রেয়েছো দু তীরে বাঁধা হায়
ভাবি এখন ছিলো কোথায় যে যাওয়ার
মনে আশার তরী শুধুই কি বাওয়ার
বুঝি নিশানা তার সুদূর দিগন্তে
আছে কি নেই কোন সুখের হদিস কি জানি
কোথায়
ও গঙ্গা…
মোর গীটারে তাই সহজ হলো সুর
মনে চাইনা যেতে আর তো বহু দূর
আছি যেথায় বাঁধা সেথায় যেন দেশ
জেনেছি বেশ তাই ভালোবাসা আর কে বেশী পায়
ও গঙ্গা…

Ami tarar moto jolbo

আমি তারার মতো জ্বলব,
তোমার কথা বলব,
দেখি আমায়, কে আটকায়?
আমি তোমার শরীরে,
চামড়ার গভীরে,
বয়ে যাই, কে আটকায়?

তোমার ethics থাকে পাহারায়, যতবার,
আমি তোমাকে দু হাতে পাই ততবার।

ভেবে দেখ অন্য সকাল,
নয়ত পর্দার আড়াল,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো লাল।
ভেবে দেখ অন্য শহর,
কিংবা পরের বছর,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো ঝড়।

আমি মেঘের মত একা,
আর তোমার সাথে দেখা,
যদি কোথাও হয়ে যায়
আমি ছুটে যাব আবার
কিছু থাক বা না থাক পাওয়ার
দেখি আমায়, কে আটকায়?

তোমার ethics থাকে পাহারায়, যতবার,
আমি তোমাকে দু হাতে পাই ততবার।

ভেবে দেখ অন্য সকাল,
নয়ত পর্দার আড়াল,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো লাল।
ভেবে দেখ অন্য শহর,
কিংবা পরের বছর,
বুকের ভেতরে – এখনো, এখনো ঝড়

Mor bhabonare

মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো,
দোলে মন দোলে অকারণ হরষে।
হৃদয়গগনে সজল ঘন নবীন মেঘে
রসের ধারা বরষে॥
তাহারে দেখি না যে দেখি না,
শুধু মনে মনে ক্ষণে ক্ষণে ওই শোনা যায়
বাজে অলখিত তারি চরণে
রুনুরুনু রুনুরুনু নূপুরধ্বনি॥
গোপন স্বপনে ছাইল
অপরশ আঁচলের নব নীলিমা।
উড়ে যায় বাদলের এই বাতাসে
তার ছায়াময় এলো কেশ আকাশে।
সে যে মন মোর দিল আকুলি
জল-ভেজা কেতকীর দূর সুবাসে॥

Amar mote tor moton

কতবার তোর বাড়ি গিয়ে ফিরে, ফিরে এলাম
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই ।
কতবার তোর জানলা দিয়ে গলে হলুদ খাম,
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই ।

তোর বাড়ির পথে সারি সারি সৈন্য
যতটা লুকিয়ে কবিতায়
তারও বেশি ধরা পড়ে যায় ।
তোর উঠোন জুড়ে বিশাল অঙ্ক,
কষতে বারণ ছিল তাই,
কিছুই বোঝা গেল না প্রায়।

কখনো চটি জামা ছেড়ে রেখে রাস্তায় এসে দাঁড়া।

Monday, 23 September 2013

Ami bristi dekhechi

আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি

চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর
নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর
কখন কিসের টানেও মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝাপসা চোখে দেখা এ শহর

আমি অনেক ভেঙেচুরে আবার শুরু করেছি
আবার পাওয়ার আশায় ঘুরে ঘুরে ঘুরেমরেছি
আমি অনেক হেরে গিয়েও হারটা স্বীকার করিনি
শুধু তোমায় হারাব আমি স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি

হারিয়ে গেছে তরতাজা সময়
হারিয়ে যেতে করেনি আমার ভয়
কখন কিসের টানেও মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝাপসা চকে দেখা এ শহর

আমি অনেক স্রোতে বয়ে গিয়ে অনেক ঠকেছি
আমি আগুন থেকে ঠেকে শিখে অনেক পুড়েছি
আমি অনেক কষ্টে অনেক কিছু দিতে শিখেছি
শুধু তোমায় বিদায় দিতে হবে স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি……

Raasta.(ranjana ami ar asbo na)

চলছে আমার রাস্তা,রাস্তা উদ্দেশ্যহীন
উড়িয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে জুড়ে
আরও একটা দিন
আরও অনেক অনেক দূর পরের শহর
চলতে হবে আমায় রাত্রি ভোর
নেই যে আমার কোন অবসর
যদি খুঁজে পাওয়া যেত একটা ঘর।

আমি বেরিয়ে পড়েছিলাম ফেলে হাজার পিছু টান
ছিল না গন্তব্য,শুধু ছিল অনেক গান
সেই গান গুলো আজ গেছে কোথায় পড়ে
আমার অজান্তে রাস্তার ধারে
যদি খুঁজে পাওয়া যেত হঠাৎ করে
যদি খুঁজে পাওয়া যেত ঠিকানা

কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?

একটা হারিয়ে যাওয়ার উন্মাদনা
স্বাধীন থাকার যে হাত
ভেঙ্গেছিলাম ঘর করে সম্পর্ক বরবাদ
সেই ঘরের উঠান ডাকছে আবার আমায়
সেই ঘরের গন্ধ,ঘরের উষ্ণতায়
একটা ফর্সা চাদর,ফর্সা বিছানায়,
একটা রেডিও তে ছেলেবেলার গান

ঝাপসা আমার হাইওয়ে,ঝাপসা আজ হৃদয়
ক্লান্ত এই শরীর আজ থেমে যেতে চায়
তবু এই রাস্তা সে তো থামতে দিবে না
এই রাস্তা কোথাও পৌঁছে দেবে না
এই ক্লান্তি সে তো রাস্তা ভাবে না
রাস্তা কেবল রাস্তাই থেকে যায়।

কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি আদৌ আছে ,বসে আছে এ রাস্তায়?
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়,
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?

Tumi asbe bole tai

তুমি আসবে বলে তাই
আমি স্বপ্ন দেখে যাই
আর একটা করে দিন চলে যায়
সুদিন আসবে বলে ওরা আগুন জ্বালায়
আর হাজার হাজার মানুষ মরে যায়
দেখবে বলে আকাশটাকে মাথা উঁচু করে
শুধুই নোংরা কালো ধোঁয়া ঢেকে যায়
কাছে আসবে বলে অন্ধকারে হাতড়ে মরে ওরা
তবু শরীর দুটো থাকে আলাদা

আমার মনটা তবু আশা করে যায়
এই মনটা তবু ভালবাসতে চায়
এই মন, আশা করে যায়

সময় ছুটে চলে
আমি আটকে পড়ে রই
আমার রাস্তা আঁটে আমি আঁটি না
চোখে নিয়ে স্বপ্ন, বুকে নিয়ে অনেক অনেক কথা
আমার বয়স বাড়ে, আমি বাড়ি না
তুমি আসবে বলে বলে তাই
আমি স্বপ্ন দেখে যাই
আর একটা করে দিন চলে যায়
সুদিন আসবে বলে ওরা আগুন জ্বালায়
আর বেকার কিছু মানুষ মরে যায়

আমার মনটা তবু আশা করে যায়
এই মনটা তবু ভালবাসতে চায়
এই মন, আশা করে যায়

Sobai keno gaite gele

সবাই কেন গাইতে গেলে প্রেমের গান’ই গায়
ঘুরে ফিরে ভালোবাসার কথাটাই
আমি অন্য কিছু গাইবো বলে তোমার কাছে এসে
সবাই কেবল সবাই হয়ে যাই

সবাই আগলে রাখে তাদের শরীরের ভেতরে
ভালোবাসার সত্যি কথাটাই
আমি অন্য কিছু করবো বলে তোমার কাছে এসে
আমি সবাই কেবল সবাই হয়ে যাই

তাই সবার মতো লিখছি আমি একটা প্রেমের গান
সবার মতো তোমাকেই চাই
বলছি তোমায় একই কথা গীতিবিতান
আমি অন্য কিছু নই আমি সবাই

আমার আকাশ আমি যতই হাজার অন্য রঙে আকি
আকাশ সে তো নীল’ই থেকে যায়
আমার সাদা কালো শহর সেতো সাদা-কালো’ই থাকে
আমি যত রঙিন নিয়ন জ্বালাই

কত হাজার হাজার শরীর আমায় রোজ ছুয়ে যাচ্ছে
তাদের গন্ধ আমার নাকে মুখে গায়
নিয়ে চলছি আমি তাদের লজ্জা আমার দু’চোখে
আমায় নিয়ে চলছে যে সবাই

তাই সবার মতো উঠতে হবে আমাকেও কাধে
হয়ে যেতে হবে একই গঙ্গায়
আমি অন্য কারো হাতের ভেতর একমুঠো ছাই
আমি অন্য কিছু নই আমি সবাই

voy dekhay na

ভয় দেখাস না প্লিজ
আমি বদলে গিয়েও ঘরে ফিরতে চাই
তবু তোর দু চোখের রোদ
ফিরতে মানা করবে সেই, ভয় পাই
এই শরীরটাই যা তুই চিনিস
বাদ বাকী,আমি আনকোরা
জোর করে তবু সই পাতাই
গল্প বানাই, মন গড়াই
আমার অন্য রাজ্যপাট
আমি ঘর পালানো পাখির ছদ্মবেশ
তোর কাঁধেতে বসে
আর গান শোনাবো, পাই যদি আদেশ

অনেক রাতের পর,
খেলনা বাটির লোভ দেখাস যদি
আবার ফিরবো ঘর
ঠোঁট ফুলিয়ে ছোট্ট এই নদী।
ভুলে গেলে তুই
হাতড়ে ফিরবো অন্ধকারের গান,
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান।
তুই এক ফালি আকাশ,
আমি ভুল করে ঢোকা একলা শঙ্খচিল।
তুই আমার বাতাস, তবু ফিরতে হবে বল দেখি মুশকিল
জানি ফেরার পর তুই আমায়, হাটতে দেখলেও চিনবি না
তোর দেওয়া এই ডাকনামে ভুল করেও আর ডাকবি না।
শুধু কোন বাদলা দিনের ভোর,
তোর স্বপ্নে উড়বে কাঁচপোকাদের ভুল
ঘুমে কাঁদবি তুই,আর গুনব আমি বদলানোর মাশুল।

অনেক রাতের পর,
খেলনা বাটির লোভ দেখাস যদি
আবার ফিরবো ঘর
ঠোঁট ফুলিয়ে ছোট্ট এই নদী।
ভুলে গেলে তুই
হাতড়ে ফিরবো অন্ধকারের গান,
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান
জমলে ধুলো গায়ে, জোছনায় করবো স্নান।

ভয় দেখাস না প্লিজ
আমি বদলে গিয়েও ঘরে ফিরতে চাই
তবু তোর দু চোখের রোদ
ফিরতে মানা করবে সেই, ভয় পাই

mone porle okaron

মনে পড়লে অকারণ
কাউকে বলা বারণ
রিমঝিমঝিম বরষায়
তুই আজ ভেজার কারণ
মেঘেদের ডাকবাক্সে
তোর চিঠি পৌছে দিলাম
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।

লাস্ট ট্রেন হলে মিস
তোর কাছে করি আব্দার
একজোড়া ট্রাম তার
তুই পাখিদের সংসার
রাতজাগা নাকি
তোর ঘুমে পাঠালাম।
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।

এই বাসস্টপ কেউ নেই
তুই ভেসে আসা গান
দলছুট পাখিদের তুই হলি
খোলা আসমান
ভর দিয়ে তোর ডানায়
নতুন উড়াল দিলাম।
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।

Ekbar bol

যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ
সেখানেই মুখ ডুবিয়ে খুঁজতে চাওয়া আমারি অভ্যেস।
যেখানে রোদ পালানো বিকেল বেলার ঘাস
সেখানেই ছুটবো ভাবি কিনব গল্প ভুল হবে বলার।
এই বুঝি ফসকাল হাত আর কালো রাত
করে সময় গেল আয়োজনে।
প্রত্যেক দিন ভয় পাওয়া সব ইচ্ছেগুলো
অনেক ঝড়ের শব্দ শোনে
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, তোর কেউ নেই
যেভাবে দৃশ্য অনেক গিলছে আমায় রোজ
সেভাবেই আড়াল পেলে ভাঙছি আমি হচ্ছি যে নিখোঁজ।
যেখানে ডাক পাঠালে মৃত দেহের ভিড়
সেখানেই তুলছি ছবি , টলছি নেশায় আসছি আবার ফিরে।
এই বুঝি ফসকাল হাত আর কালো রাত
করে সময় গেল আয়োজনে।
প্রত্যেক দিন ভয় পাওয়া সব ইচ্ছেগুলো
অনেক ঝড়ের শব্দ শোনে।
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, তোর কেউ নেই
একবার বল একবার বল একবার বল নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই, কেউ নেই, কেউ নেই
একবার বল নেই তোর কেউ নেই, তোর কেউ নেই
এ…হে তোর কেউ নেই, ও…হো তোর কেউ নেই আ…হা…

Bhindeshi Tara

আমার ভিনদেশী তারা
একা রাতেরই আকাশে
তুমি বাজালে একতারা
আমার চিলেকোঠার পাশে
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্পো বলো কাকে
আমার রাত জাগা তারা
তোমার অন্য পাড়ায় বাড়ী
আমার ভয় পাওয়া চেহারা
আমি আদতে আনাড়ী

আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
আমার চোখ বেধে দাও আলো
দাও শান্ত শীতল পাটি
তুমি মায়ের মতই ভালো
আমি একলাটি পথ হাটি
আমার বিচ্ছিরি এক তারা
তুমি নাও না কথাখানি
তোমার কিসের এতো তাড়া
সে রাস্তা পার হবে সাবধানি

তোমার গায়ে লাগেনা ধুলো
আমার দু-মুঠো চাল চুলো
তোমার গায়ে লাগেনা ধুলো
আমার দু-মুঠো চাল চুলো
রাখো শরীরে হাতে যদি
আর জল মাখো দুই হাতে
প্লীজ ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে
আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোয়া বাড়ী
আমি পাইনা ছুতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারী

আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোয়া বাড়ী
আমি পাইনা ছুতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারী

হুম হুম………………

Ayna din antaheen

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর

ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর
ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

ব্যস্ত ট্র্যাফিক পাগল মাফিক হরদম রংরুট
কার্নিশজুড়ে বৃষ্টি পাঠায় বিষণ্ণ চিরকুট
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

ফুটপাথে শোওয়া লোক রেলিঙের ডালে কাক
কিছু খুচরো ছড়ালো, হারালো কোন অজানাতে
বাসি কিছু বেল ফুল
ছুটি হওয়া ইশকুল
তুমি হেঁটেছ, রেখেছ, বেঁধেছ আঁচল-প্রাতে
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর
ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

দেখে অফিসের ভিড়, চিল ভেসে আছে স্থির
দূর বাসের পিছনে আজ নগদ আর কাল ধার
কলে চলে এলো জল
মাঠে ভুলে যাওয়া বল
তুমি বুঝেছ, খুজেছ, ঠিকানাবিহীন খালপাড়
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক
অচেনা মুখ এক চুমুক অচেনা চোখ আমার হোক

সাদাকালো কিছু ডোরাকাটা দাগ
ঐ পেরোচ্ছে রোদ্দুর
ট্রামের তারে আটকা ঘুড়ি
ভাবছে সমুদ্দুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর
আয়না দিন……অন্তহীন ভাংচুর

jao pakhi bolo

যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ
আঙ্গুলের কোলে জ্বলে জোনাকি ,
জলে হারিয়েছি কানসোনা কি ?
জানলায় গল্পেরা কথা মেঘ
যাও মেঘ চোখে রেখো এ আবেগ
যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ

যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ
আঙ্গুলের কোলে জ্বলে জোনাকি ,
জলে হারিয়েছি কানসোনা কি ?
জানলায় গল্পেরা কথা মেঘ
যাও মেঘ চোখে রেখো এ আবেগ
যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে
হুম……

যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
রূপকথা আনাচ কানাচ
আঙ্গুলের কোলে জ্বলে জোনাকি ,
জলে হারিয়েছি কানসোনা কি ?
জানলায় গল্পেরা কথা মেঘ
যাও মেঘ চোখে রেখো এ আবেগ
যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো
আবছায়া জানলার কাঁচ.....

Sokal ase na (antaheen)

সকাল আসে না , আয়না হাসে না, জানলা খোলা মেঘ, সে ভালবাসে না
না কিছু ভাবি না, রোদ এলো কিনা, স্নানের জলে গান, আমি না তুমি না
দিনের পাখিরা ছুঁয়েছে ডানা, রাতের পরীরা ভুল ঠিকানা
সকাল আসে না , আয়না হাসে না, একলা খোলা বই, সে ভালবাসে না

জাগে না জাগে না তার চোখ
জাগে না জাগে না তার চোখ
ডেকে দেয়া টুকু আমার হোক, অচেনা এ অবেলায়
জাগে না জাগে না তার চোখ
জাগে না জাগে না তার চোখ
ডেকে দেয়া টুকু আমার হোক, অচেনা এ অবেলায়

দিনের পাখিরা ছুঁয়েছে ডানা, রাতের পরীরা ভুল ঠিকানা
গোধূলি ভাঙ্গা গা, আমি না তুমি না
সকাল আসে না , আয়না হাসে না, একলা খোলা বই, সে ভালবাসে না.

Nodir opare

নদীর ওপারে ঘন কুয়াশায়
কুশায়ার ফুল কুঁড়াতে এলে
মাঝখানে আজ বহমান পানি রচে ব্যবধান
রচে ব্যবধান তোমার আমার,
রচে ব্যবধান দুই বাংলার
তাই কি এলে
ওপারের মেয়ে সব কাজ ফেলে
তাই কি এলে
কুয়াশার সেতু বাধবে বলে
তাই কি এলে

রেলগাড়ি ওই চলে গেল শোন রাত্রি চিড়ে
কথা ডুবে গেলো অতল তিমিরে
অপলক তুমি চেয়ে আছ মুখে
অপরিচিতা
কুয়াশায় গড়া অলিক মানবী
কুয়াশাবৃতা
ভেঙে-ভেঙে যায় কুয়াশার সেতু,
উঠেছে হাওয়া
মুহূর্ত যায় ছিঁড়ে
চলে গেলে গল্প-কায়া
পাগল হাওয়া
রক্তে জোয়ার হল দুর্বার
তোমাকে চাওয়া, তোমাকে চাওয়া।

কাফের, তোমাকে ভালবাসলাম বলে
ছায়া মরে গেল,
তারা নিভে গেল,
সাগর উঠল জ্বলে
মহাকাশ জুড়ে উল্কাবৃষ্টি,
শিহরিত হল সকল সৃষ্টি
পাহাড় পড়ল টলে
এ দুঃসময়, এ ঘোর প্রলয়,
কেবল তোমাকে ভালবাসলাম বলে
কাফের, তোমাকে ভালবাসলাম বলে
অকালবোধনে বসন্ত এল,
কৃষ্ণচূড়া অবনত হল ফুলে।
চরাচর জুড়ে এল হাওয়া উত্তাল,
নাচে ধমনীতে শোণিতের স্রোতে উদ্দাম মহাকাল,
কাফের, তোমাকে ভালবাসলাম বলে।

Wednesday, 7 August 2013

Chithi


মনের মধ্যে জমে থাকা
রাশি রাশি অভিমানের ঝড়গুলো
জমেথাকা রাশি রাশি দুঃখ
রাশি রাশি আবেগ ভরা ক্ষতগুলোকে
শব্দ বাক্য করে ভোরে ফেললাম কাগজে ।
বড্ড ভারি হল কাগজটা
দেখিস ওতে দু ফোঁটা জল ও পাবি
একতা ভেজা সেতসেতে দুঃখও আছে ।
নাম ঠিকানা লেখার আর জায়গা হল না
তাও তর কাছে পাঠিয়ে দিলাম ।
আমার পোষা পায়রা নেই
যে পায়ে করে নিয়ে যাবে
পিওন গুলো ত মোটা কচ্ছপ
পৌঁছানর আগেই হয়ত মিলিয়ে যাবে
সময় সব কিছু মিলিয়ে দেয় ।
তাই মুখের বইয়ে পাঠালাম
ওরা জানে তুই কোন দ্বীপে থাকিস
জানি না তুই পাবি কিনা তবুও পাঠালাম
পড়িস কিন্তু , ভালথাকিস ।

পুরাতন ভৃত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূতের মতন চেহারা যেমন,   নির্বোধ অতি ঘোর— 
যা‐কিছু হারায়, গিন্নি বলেন,   “কেষ্টা বেটাই চোর।” 
উঠিতে বসিতে করি বাপান্ত,   শুনেও শোনে না কানে। 
যত পায় বেত না পায় বেতন,   তবু না চেতন মানে। 
বড়ো প্রয়োজন, ডাকি প্রাণপণ   চীৎকার করি “কেষ্টা”— 
যত করি তাড়া নাহি পাই সাড়া,   খুঁজে ফিরি সারা দেশটা। 
তিনখানা দিলে একখানা রাখে,   বাকি কোথা নাহি জানে; 
একখানা দিলে নিমেষ ফেলিতে   তিনখানা করে আনে। 
যেখানে সেখানে দিবসে দুপুরে   নিদ্রাটি আছে সাধা; 
মহাকলরবে গালি দেই যবে   “পাজি হতভাগা গাধা”— 
দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সে হাসে,   দেখে জ্বলে যায় পিত্ত। 
তবু মায়া তার ত্যাগ করা ভার— বড়ো পুরাতন ভৃত্য। 

ঘরের কর্ত্রী রুক্ষমূর্তি   বলে, “আর পারি নাকো, 
রহিল তোমার এ ঘর‐দুয়ার,   কেষ্টারে লয়ে থাকো। 
না মানে শাসন   বসন বাসন   অশন আসন যত 
কোথায় কী গেল, শুধু টাকাগুলো   যেতেছে জলের মতো। 
গেলে সে বাজার সারা দিনে আর   দেখা পাওয়া তার ভার— 
করিলে চেষ্টা কেষ্টা ছাড়া কি   ভৃত্য মেলে না আর!” 
শুনে মহা রেগে ছুটে যাই বেগে,   আনি তার টিকি ধরে; 
বলি তারে, “পাজি, বেরো তুই আজই,   দূর করে দিনু তোরে।” 
ধীরে চলে যায়, ভাবি গেল দায়;   পরদিনে উঠে দেখি, 
হুঁকাটি বাড়ায়ে রয়েছে দাঁড়ায়ে   বেটা বুদ্ধির ঢেঁকি— 
প্রসন্ন মুখ, নাহি কোনো দুখ,   অতি অকাতর চিত্ত! 
ছাড়ালে না ছাড়ে, কী করিব তারে—  মোর পুরাতন ভৃত্য! 

সে বছরে ফাঁকা পেনু কিছু টাকা   করিয়া দালালগিরি। 
করিলাম মন শ্রীবৃন্দাবন   বারেক আসিব ফিরি। 
পরিবার তায় সাথে যেতে চায়,   বুঝায়ে বলিনু তারে— 
পতির পুণ্যে সতীর পুণ্য,   নহিলে খরচ বাড়ে। 
লয়ে রশারশি করি কষাকষি   পোঁটলাপুঁটলি বাঁধি 
বলয় বাজায়ে বাক্স সাজায়ে   গৃহিণী কহিল কাঁদি, 
“পরদেশে গিয়ে কেষ্টারে নিয়ে   কষ্ট অনেক পাবে।” 
আমি কহিলাম, “আরে রাম রাম!   নিবারণ সাথে যাবে।” 
রেলগাড়ি ধায়; হেরিলাম হায়   নামিয়া বর্ধমানে— 
কৃষ্ণকান্ত অতি প্রশান্ত,   তামাক সাজিয়া আনে! 
স্পর্ধা তাহার হেনমতে আর    কত বা সহিব নিত্য! 
যত তারে দুষি তবু হনু খুশি   হেরি পুরাতন ভৃত্য! 

নামিনু শ্রীধামে— দক্ষিণে বামে   পিছনে সমুখে যত 
লাগিল পাণ্ডা, নিমেষে প্রাণটা   করিল কণ্ঠাগত। 
জন‐ছয়‐সাতে  মিলি এক‐সাথে   পরমবন্ধুভাবে 
করিলাম বাসা; মনে হল আশা,   আরামে দিবস যাবে। 
কোথা ব্রজবালা কোথা বনমালা,   কোথা বনমালী হরি! 
কোথা হা হন্ত, চিরবসন্ত!   আমি বসন্তে মরি। 
বন্ধু যে যত স্বপ্নের মতো   বাসা ছেড়ে দিল ভঙ্গ; 
আমি একা ঘরে ব্যাধি‐খরশরে   ভরিল সকল অঙ্গ। 
ডাকি নিশিদিন সকরুণ ক্ষীণ,   “কেষ্ট আয় রে কাছে। 
এত দিনে শেষে আসিয়া বিদেষে   প্রাণ বুঝি নাহি বাঁচে।” 
হেরি তার মুখ ভরে ওঠে বুক,    সে যেন পরম বিত্ত— 
নিশিদিন ধরে দাঁড়ায়ে শিয়রে   মোর পুরতন ভৃত্য। 

মুখে দেয় জল, শুধায় কুশল,   শিরে দেয় মোর হাত; 
দাঁড়ায়ে নিঝুম, চোখে নাই ঘুম,   মুখে নাই তার ভাত। 
বলে বার বার, “কর্তা, তোমার   কোনো ভয় নাই, শুন— 
যাবে দেশে ফিরে, মাঠাকুরানীরে   দেখিতে পাইবে পুন।” 
লভিয়া আরাম আমি উঠিলাম;   তাহারে ধরিল জ্বরে; 
নিল সে আমার কালব্যাধিভার   আপনার দেহ‐’পরে। 
হয়ে জ্ঞানহীন কাটিল দু দিন,   বন্ধ হইল নাড়ী; 
এতবার তারে গেনু ছাড়াবারে,  এতদিনে গেল ছাড়ি। 
বহুদিন পরে আপনার ঘরে   ফিরিনু সারিয়া তীর্থ; 
আজ সাথে নেই চিরসাথি সেই   মোর পুরাতন ভৃত্য।

Mone kore jeno bidesh ghure


মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে
     মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে ।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ’পরে
     টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে ।
রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে
     রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে ।

     সন্ধে হল,সূর্য নামে পাটে
     এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে ।
ধূ ধূ করে যে দিক পানে চাই
কোনোখানে জনমানব নাই,
তুমি যেন আপনমনে তাই
     ভয় পেয়েছ; ভাবছ, এলেম কোথা?
আমি বলছি, ‘ভয় পেয়ো না মা গো,
     ঐ দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা ।’

চোরকাঁটাতে মাঠ রয়েছে ঢেকে,
    মাঝখানেতে পথ গিয়েছে বেঁকে ।
গোরু বাছুর নেইকো কোনোখানে,
সন্ধে হতেই গেছে গাঁয়ের পানে,
আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে,
     অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো ।
তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,
      ‘দিঘির ধারে ঐ যে কিসের আলো!’

     এমন সময় 'হারে রে রে রে রে’
     ঐ যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে ।
তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে
ঠাকুর দেবতা স্মরণ করছ মনে,
বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে
     পালকি ছেড়ে কাঁপছে থরোথরো।
আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে,
     ‘আমি আছি, ভয় কেন মা কর।’

হাতে লাঠি, মাথায় ঝাঁকড়া চুল
     কানে তাদের গোঁজা জবার ফুল ।
আমি বলি, ‘দাঁড়া, খবরদার!
এক পা আগে আসিস যদি আর -
এই চেয়ে দেখ আমার তলোয়ার,
     টুকরো করে দেব তোদের সেরে ।’
শুনে তারা লম্ফ দিয়ে উঠে
     চেঁচিয়ে উঠল, ‘হারে রে রে রে রে।’

     তুমি বললে, ‘যাস না খোকা ওরে’
     আমি বলি, ‘দেখো না চুপ করে।’
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,
ঢাল তলোয়ার ঝন্‌ঝনিয়ে বাজে
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে,
     শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।
কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,
     কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।

এত লোকের সঙ্গে লড়াই করে
     ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।
আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে
বলছি এসে, ‘লড়াই গেছে থেমে’,
তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে
     চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে -
বলছ, ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল!
     কী দুর্দশাই হত তা না হলে।’

     রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা -
     এমন কেন সত্যি হয় না আহা।
ঠিক যেন এক গল্প হত তবে,
শুনত যারা অবাক হত সবে,
দাদা বলত, ‘কেমন করে হবে,
     খোকার গায়ে এত কি জোর আছে।’
পাড়ার লোকে বলত সবাই শুনে,
      ‘ভাগ্যে খোকা ছিল মায়ের কাছে।’

dui bighe jomi


শুধু বিঘে-দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে।
বাবু বলিলেন, 'বুঝেছ উপেন? এ জমি লইব কিনে।'
কহিলাম আমি, 'তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই -
চেয়ে দেখো মোর আছে বড়জোর মরিবার মতো ঠাঁই।
শুনি রাজা কহে, 'বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা,
পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা -
ওটা দিতে হবে।' কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি
সজল চক্ষে, 'করুন রক্ষে গরিবের ভিটেখানি।
সপ্তপুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া,
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!'
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে,
কহিলেন শেষে ক্রুর হাসি হেসে, 'আচ্ছা, সে দেখা যাবে।'

পরে মাস-দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে -
করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।
এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
মনে ভাবিলাম, মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে,
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য -
কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য।
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি
তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি।
হাটে মাঠে বাটে এইমত কাটে বছর পনেরো-ষোলো,
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়োই বাসনা হল।।

নমোনমো নম, সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধুলি -
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
পল্লবঘন আম্রকানন, রাখালের খেলাগেহ -
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল নিশীথশীতলস্নেহ।
বুক-ভরা-মধু বঙ্গের বধু জল লয়ে যায় ঘরে
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে -
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি, রথতলা করি বামে,
রাখি হাটখোলা নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।।

ধিক্ ধিক্ ওরে, শত ধিক্ তোরে নিলাজ কুলটা ভূমি,
যখনি যাহার তখনি তাহার - এই কি জননী তুমি!
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা
আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফলফুল শাক-পাতা!
আজ কোন্ রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ -
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা, পুষ্পে খচিত কেশ!
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন,
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী, হাসিয়া কাটাস দিন!
ধনীর আদরে গরব না ধরে! এতই হয়েছ ভিন্ন -
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সে দিনের কোনো চিহ্ন!
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ী, ক্ষুধাহরা সুধারাশি।
যত হাসো আজ, যত করো সাজ, ছিলে দেবী - হলে দাসী।।

বিদীর্ণহিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি -
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে সেই আমগাছ একি!
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা,
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালককালের কথা।
সেই মনে পড়ে, জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম,
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা-পলায়ন -
ভাবিলাম হায়, আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন।
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে,
দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে।
ভাবিলাম মনে, বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা।
স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা।।

হেনকালে হায় যমদূতপ্রায় কোথা হতে এল মালী।
ঝুঁটিবাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।
কহিলাম তবে, 'আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব -
দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব।'
চিনিল না মোরে, নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ;
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ-সাথে ধরিতেছিলেন মাছ -
শুনে বিবরণ ক্রোধে তিনি কন, 'মারিয়া করিব খুন।'
বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ।
আমি কহিলাম, 'শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয়!'
বাবু কহে হেসে, 'বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়!'
আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোরে ঘটে -
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।।

এসে হীরকদেশে দেখে হীরের চমক


এসে হীরকদেশে
দেখে হীরের চমক,
এতো খাতির পেয়ে
দেখে রাজার ঝমক
মোদের মন ভরে গেছে খুশীতে…
মোরা সে কথা জানাই

রাজা এতোই রসিক
রাজা এতো দরাজ
রাজা এতো মিশুক
রাজার চিকন মেজাজ,
মোদের প্রান ভরে গেছে তাই…
মোরা সে কথা জানাই…….

বলো হীরক রাজার জয়,
বলো এমন রাজা ক’জন রাজা হয়
কতো দেশে দেশে, ঘুরে শেষে
মন বলে হীরকে এসে
‘এমন রাজা কোন দেশে নাই’
বলে ‘এমন রাজা কোন দেশে নাই’
মোরা সেই কথা জানাই
মোদের গানে, মোদের গানে সেই কথা জানাই…

থেমে যায় মেঘ


থেমে যায় মেঘ গাছে ফুলে ঘুমে চোখ
বুজে আসে তুমি চুপ
আমি জানি চুপিসারে আগুন
জ্বলে যায় ঘষা কাঁচ আর নখ
গ্রামাফোনে জালবোনে সময়
হিমঘরে সাদা চাদরে পরবাসে কে
ভেঙ্গে যায় বুকে চেনা চেনা সব মুখ
ভীরে মিসে যায় কুয়াশায়
শুধু ভাবি উলেবোনা জীবন
পরে যায় খালি বার সারাখন
পাইনবনে গাছগনে বাতাস
ভয়করে ঠাণ্ডা পাথরে ফেটে আসে সে
বুকের হাত পাথর ভেজা ফুলে
ছাই আতর বাতাসে দিন নিভে যায়
ইটের শিরায় পথ হারায় অর্কিডেমোরা ছাত
রাত কুড়ে খায় ঘুন পোকায় আমার বুকের ভিতর
জিম ধরে যায় হাওয়ায় ।  

নীল স্লিপিং পিলে রাত


চলে যাচ্ছে গতকাল ভাবে আনমনা রুমাল
যদি ঠাণ্ডা রঙমশাল জ্বলে যায়
চলে যাচ্ছে গতকাল ভাবে আনমনা রুমাল
যদি ঠাণ্ডা রঙমশাল জ্বলে যায়

নীল স্লিপিং পিলে রাত সুতে চাইছে না হঠাৎ
যদি মুঠোয় ধরা হাত চলে যায়

তুমি গুছিয়ে কোন কথা বলতে পারনা
তুমি গুছিয়ে ঠিক কথা বলতে পারনা
শুধু সময় নিজের গল্প বলে যায়

এই পাহাড়িয়া বাতাস তাদের টানে কোনদিকে
রোজ সন্ধে হলে পাখি গুলো যায়
তুমি বৃষ্টি দেখে ফিরছ কোন জাপসা তারিখে
এই কুয়াশা কে কাকে বোঝায়

নীল স্লিপিং পিলে রাত সুতে চাইছে না হঠাৎ
যদি মুঠোয় ধরা হাত চলে যায়

তুমি গুছিয়ে কোন কথা বলতে পারনা
তুমি গুছিয়ে ঠিক কথা বলতে পারনা
শুধু সময় নিজের গল্প বলে যায়

এই একা থাকার মরসুম এই শেষ না হওয়া রাত
কত কথা মনে পরছে কতবার
সব ছেড়ে যাবার রাস্তা ঘিরে হাল্কা তুষারপাত
শুধু ঘরে ফেরা হলনা তোমার

নীল স্লিপিং পিলে রাত সুতে চাইছে না হঠাৎ
যদি মুঠোয় ধরা হাত চলে যায়

তুমি গুছিয়ে কোন কথা বলতে পারনা
তুমি গুছিয়ে ঠিক কথা বলতে পারনা
শুধু সময় নিজের গল্প বলে যায়


Mondo Valoy Dishehara


মন্দ ভালোয় দিশেহারা
একরোখা দিন লাগামছাড়া রুটিন ছোটায়
রাস্তা ছোটে হাজার দিকে
শহরজোরা এই ট্রাফিকের ছুটি কোথায়...।

ছুটির কথাই উঠলো যখন
দিন কাটিয়ে সূর্য্যি তখন দিব্বি ডুরে
ভিড়ের ছোঁয়াচ লাগছে জামায়
রোদ্দুরে মন গল্প শোনায় এই দুপুরে

কি জানি কখন কোথায় কিযে হয়...
কি জানি কখন কোথায় কিযে হয়...
খেয়াল খুশির চলছে এ সময় ...।

বিকেল নামে পরের স্টপে
অল্প আলোয় কফিশপে আড্ডা ঘনায়
ফ্লাইওভার এর শরীর জুড়োয়
হাওয়া তখন কাগজ কুরায় অবুজপনায়...।

হাওয়ার কথাই উঠলো যখন
টিমটিমে নিল দিচ্ছে তখন সন্ধে জ্বালে
ঘরফেরা লোক ক্লান্তি কুঁড়োয়
ঝিমধরা চখ স্বপ্ন ওড়ায় কার্নিভ্যালে...।

কি জানি কখন কোথায় কিযে হয়...
কি জানি কখন কোথায় কিযে হয়...
খেয়াল খুশির চলছে এ সময় ...।

রাতের স্টপেজ নিওন ভেজা
বন্ধ বাজার ঘুম হেঁটে যায় রাস্তাদিয়ে
ফুটপাতও তার গল্প বলে
কেটলি ঘুমায় চায়ের স্টলে মুখলুকিয়ে ...।

ঘুমের কথাই উঠলো আবার
শহুরে রাত স্বপ্নে কাবার বাজবে অ্যালার্ম
অনেক দেখে একটু ভেবে
শহর আবার রওনা দেবে সকাল বেলা

কি জানি কখন কোথায় কিযে হয়...
কি জানি কখন কোথায় কিযে হয়...




MON - CHANDRABINDU


মন...
হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম
মন...
হাওয়ায় হারিয়ে ফেললাম..
হাওয়া দিলো শিশিরানিটা
হাওয়া দিলো ডানা
হাওয়া দিলো ছেঁড়া স্যান্ডল
ভুল ঠিকানা...
মন রে.....
হলুদ আলোয় হাওয়ার আবীর মাখলাম
হে হে মন...
আলেয়া পরালো খালি হাত
মন..
জাগেনা জাগেনা সারা রাত.....
জেগে থাকে ঘুম পাহাড়ের মন
কেমন আলো
দূরদেশে ফিকে হওয়া রাত
ডাক পাঠালো...
মন রে..
ঘুমের গোপনে তোমাকে আবার ডাকলাম
হে হে
আদরের ডাক যদি মুছে
এই নাও কিছু ঘুম পাড়ানি গান আলগোছে
বোঝনা এটুকু শিলালিপি
মন রে..
ব্যাথার আদরে অবুঝ আঙ্গুল রাখলাম
হে হে
মন...
বুকের ভিতরে যে নরম
মন...
ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না এরকম....
ছুঁয়ে দিলে বুক কুরে কুরে খায়
সোনা পোকা
বেপাড়ায় কাঁদবেনা এমা ছি: ছি: বোকা
মন রে...
নাহয় পকেটে খুচরো পাথর রাখলাম

MEGH PEON


মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

মন খারাপের খবর আসে বনপাহাড়ের দেশে ,
চৌকোণও সব বাক্সে যেথায় যেমন থাকসে
মন খারাপের খবর পরে দারুণ ভালোবেসে ।

মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিওনের পারি
পাগদন্দি পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ি ,
বাগান শেষে সদর দোয়ার বারান্দাতে আরাম চেয়ার
গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি ,
সেথায় এসে মেঘ পিওনের সমস্ত ব্যাগ খালি  ।

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

দেয়াল জুরে ছোট্ট রোদের ছায়া বিশাল কায়
নিস্পলকে ব্যকুল চোখে তাকিয়ে আছে ঠায়
কীসের অপেক্ষায় ।

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

আষাঢ় মেঘে বৃষ্টি এল আকাশ জুড়ে গাড়ও ,
রোদের সাথে ছায়ার আড়ি মুখ দেখেনা কারও ।

মেঘ করেছে পড়ার ঘরে বিছানাটা জুড়ে ,
উথাল পাথাল মেঘ করেছে নিজুম হৃদয়পুরে ।
.............................................।

রোদের ছুরি ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত
রোদের বুকের ভিতর ক্ষত ।
সেই বুকের থেকে টুপ টুপ টুপ নীল কুয়াশা ঝরে ,
আর মন খারাপের খবর আসে আকাশে মেঘ করে
সারা আকাশ জুড়ে ।

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

মেঘের দেশে রোদের বাড়ি পাহাড় কিনারায় ,
যদি মেঘ পিওনের ডাকে সেই ছায়ার হদিশ থাকে
রোদের ফালি তাকিয়ে থাকে আকুল আকাঙ্খায় ।
কবে মেঘের পিঠে আসবে খবর বাড়ির বারান্দায় ।
ছোট্ট বাগানটায় ।

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

.............................................

বুঝি হটাত করে মেঘ পিওনের ক্ষণেক অসাবধানে ,
তার চিঠির গোছা উরে গেছে কখন দূরের বনে ।

গড়িয়ে গেছে ঝর্না জলে ছড়িয়ে গেছে গাছের ডালে ,
মন খারাপের পাতা গুলো গাছের পাতার মতো ,
নীল পাহারে পরছে ঝরে ঝরছে অবিরতও   ।

.............................................।

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

মন খারাপের মেঘে গেল সারাটা বন ঢেকে ,
মেঘের ডাকে গুমরে ওঠা কষ্ট থেকে থেকে ।
ছায়া যেন ছায়ার মতো মেলায় পাহাড় বনে ,
ছায়াটি তার ফেলে গেছে কখন মনের কনে ।

.............................................।

এপাশ ওপাশ রাত্রি ফুরায় মন খারাপের ভোরে
পশলা মেঘে বৃষ্টি পরে বৃষ্টি পরে ঝরে ।
আয়ে বৃষ্টি টাপুর টুপুর আয়ে বৃষ্টি ঝেঁপে ,
মন খারাপের বৃষ্টি তোকে দুঃখ দেবো মেপে ।

.............................................।

মেঘ পিওনের কোথায় বাড়ি কোথায় সে কোন দূরে ,
আষাঢ় হলেই কোথা থেকে আসে আকাশ জুরে ।
মন খারাপের দিস্তেগুলি কখন বিলি করে ,
রাত জাগা কোন ভোরে মেঘের দ্বিপ্রহরে ।
বাগদন্দি পথের ধারে বাগান ঘেরা ঘরে  ,
এখন রোদ উঠেছে মেঘ পিওনের যাবার সময় প্রায় ,
যেসব চিঠি হয়নি বিলি পরেছে ঝরনায় ।

গড়িয়ে গেছে নদীর জলে ছড়িয়ে আছে গাছের ডালে ,
টুপ টুপ টুপ পরবে ঝরে পাহাড়তলির পথে ।
ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে শুকনো পাতার সাথে ।

মন খারাপের সজলটুকু শুকিয়ে গিয়ে শেষে ,
মিলিয়ে যাবে তিরতিরে এক মন কেমনের রেশে ।

মেঘ পিওনের ব্যাগের এবার মন কেমনের দিস্তা ,
সেই মন কেমনের মনের টানে চলছে বয়ে তিস্তা ।
চলছে বয়ে তিস্তা ।

Monday, 25 March 2013

ফাঁকা ফ্রেম- Anupam Roy





ফাঁকা ফ্রেম আর অকেজ হাত-ঘরি
নিয়ে এখন আমি কি করি ?
অ্যান্টেনায় আর অশ্বত্থের ডালে
ঝুলে থাকি প্রতেক সকালে ।

শহুরে সন্ধ্যায়, বন্ধরে
রুমাল নেড়ে আমি জাহাজ তাড়াই
অনেক রাতে স্টেশানে
প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিখিরি সাজাই

দেড়শো বছর আগেও আমি
তোমায় খুঁজে পথের ধারে
ক্লান্ত হয়ে শুয়ে ছিলাম
এভাবেই ঠিক অন্ধকারে,
এখন তুমি খুঁজতে এলে ?
আর দেড়শো বছর আগেও আমি
তোমায় চেয়ে গান লিখেছি,
পুকুরধারে জলের গন্ধে
বাংলা ভাষায় চোখ ধুয়েছি
এখন তুমি খুঁজতে এলে ?




ম্যানহোল আর কলেজ স্ট্রীটের গলি
তোদের সাথে অন্য কথা বলি
Miyazaki আর সত্যজিতে মাখা
Truffaut-র দিন আমার জন্য রাখা ।

শহুরে সন্ধ্যায়, বন্ধরে
রুমাল নেড়ে আমি জাহাজ তাড়াই
অনেক রাতে স্টেশানে
প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিখিরি সাজাই

দেড়শো বছর আগেও আমি
তোমায় খুঁজে পথের ধারে
ক্লান্ত হয়ে শুয়ে ছিলাম
এভাবেই ঠিক অন্ধকারে,
এখন তুমি খুঁজতে এলে ?
আর দেড়শো বছর আগেও আমি
তোমায় চেয়ে গান লিখেছি,
পুকুরধারে জলের গন্ধে
বাংলা ভাষায় চোখ ধুয়েছি
এখন তুমি খুঁজতে এলে ?

এই তো আমি চাই- Hemlock Society


এই তো আমি চাই, মাখবো গায়ে সোনা,
হাত বাড়ালেই চাই,
আবার কখন ঘিরছে আমায় চাদর সকাল,
ভাঙছে আওয়াজ ঘুম
বুনতে বুনতে ফুরোয় সময়,
গুনতে গুনতে দিন...
এই তো আমি চাই...

এভাবেই চল খেলি, আমাকে যা খুসি ডাকিস,
ঘাস ছুলে পা দুটো, কেন তুই চোখ বুঁজে থাকিস?
আমিও আদরে পড়ছি ধরা...
আমিও আদরে পড়ছি ধরা...
এই তো আমি চাই, মাখবো গায়ে সোনা...
চল এবার ফিরে যাই, মেখে দেখি শহর-গলি,
শোরগোলে মুখ তুলে তোকে ঠিক কোন কথা বলি?
আমিও আদরে পড়ছি ধরা...
আমিও আদরে পড়ছি ধরা...
এই তো আমি চাই, মাখবো গায়ে সোনা...
হাত বাড়ালেই চাই...

আবার কখন ঘিরছে আমায় চাদর সকাল?
ভাঙছে আওয়াজ ঘুম
বুনতে বুনতে ফুরোয় সময়
গুনতে গুনতে দিন...

এই তো আমি চাই...

তবু যদি তুমি আসতে চাও- Dutta vs Dutta


তবু যদি তুমি আসতে চাও
খোলা আছে আমার দু-হাত,
জেনো এখানে নেই কোনো হিসেব
শুধু আছে নীল আকাশ |

আছে লাগাম ছেড়া স্বপ্ন, বুকের ভেতর,
আছে বেপরোয়া বোতাম বিহীন শার্ট,
আছে হারিয়ে যাওয়ার নেশা নাকে মুখে,
ভুলে গিয়ে রোজকার দোকান বাজার-হাট,
আছে রাস্তা একটা চলার, আছে অনেক কথা বলার,
আছে পকেট কিন্তু পকেট গড়ের মাঠ |

তবু যদি তুমি আসতে চাও
খোলা আছে আমার দু-হাত,
যেনো এখানে নেই কোনো হিসেব
শুধু আছে নীল আকাশ |

ভালো, যদি তুমি বাসতে চাও
নিজেকে আজ নিজের মতন,
ভেবে রেখে দিয়ে পিছুটান
চলে এস চলে এস |

নেই এখানে ভবিষত্যের ভাবনা,
নেই কোনো সম্পর্কের দাবি দাওয়া,
শুধু সুখ দুখেরই শরিক হতে পারিই
নেই অন্য কোনো চাওয়া পাওয়া,
শুধু রাস্তা আছে চলার, আছে সত্যি কথা বলার,
আছে পকেট কিন্তু পকেট গড়ের মাঠ |

তবু যদি তুমি আসতে চাও
খোলা আছে আমার দু-হাত,
যেনো এখানে নেই কোনো হিসেব
শুধু আছে নীল আকাশ |

ভালো, যদি তুমি বাসতে চাও
নিজেকে আজ নিজের মতন,
ভেবে রেখে দিয়ে পিছুটান
চলে এস চলে এস |

পালাচ্ছে- khela


পালাচ্ছে, পালাচ্ছে, পালাচ্ছে |


বই পালাচ্ছে, স্কুল পালাচ্ছে |
পাড়ার মোড় ছেড়ে,
তেপান্তরের মাঠ পালাচ্ছে হুগলি সেতু ধরে |


বন পালাচ্ছে, গাঁ পালাচ্ছে,
দেশ পালাচ্ছে দেশে |
নিরুদ্দেশ? সেও পালাচ্ছে আর এক নিরুদ্দেশে |


পালাচ্ছে দিন-রাত্রি,
পালাচ্ছে বারো মাস |
কোথায় থামবে?


সুখ পালাচ্ছে, দুখ্ পালাচ্ছে,
কে কার কাছে এসে !
ছায়া পালাচ্ছে, ছবি পালাচ্ছে,
ছায়াছবির দেশে |


মেঘ পালাচ্ছে, রোদ পালাচ্ছে,
এখন মেঘ্-নিবেলা,
কু-ঝিক-ঝিক কু-ঝিক-ঝিক,
পালাচ্ছে ছেলেবেলা |


পালাচ্ছে দিন রাত্রি,
পালাচ্ছে বারো মাস |
কোথায় থামবে?


এ অরণ্য ছেড়ে যাচ্ছে হেমন্ত বিশ্বাস |
পাতা ঝরেছে |


সব পথ ঘরে যায়,
ঘর পথ পেতে চায়,
করে পথ কাটাকুটি,
অকারণ ছুটোছুটি,
থেমে যায় আড়ালে, আঁধারে |


পালাচ্ছে দিন রাত্রি,
পালাচ্ছে বারো মাস |
কোথায় থামবে?

ধূসর চুল- Zero act


হয়ত জানি না আমি এপাশ ফিরে শুলেও কেন থামতে পারি না
এলোমেলো ভোর আসা-যাওয়ার খবর
রাখতে পারিনি তোমার অসংলগ্ন বাক্যগুলো বুঝতে পারিনি
আমার ঘুম পেরোলে ছাদ আজ অন্য কিছু বাদ

এইতো কিছু বরফ হিসেব গলছে সময় যাচ্ছে মিশে
অনেক রুমাল কান্না তুমি ভিজবে না
হয়ত আবার পিছুটানে ঢাকছি আকাশ অন্যগানে
উষ্ণ অনেক অনুভুতির আস্তানা

এই ধূসর চুল আজও ভালো লাগে তোমায়
এই ধূসর চুল গেছে সময় অবহেলায়
তবু যদি ঘরে ফেরা যায় এই বেলায়

ফিরতে পারি না আমি অনেক রকম জড়িয়ে গেছি রাস্তা চিনি না
এই অল্প আলোর দিন বেশ থাক না গতিহীন
এই আলোতেই চাই গাছ থেকে সব নাগাল ফেলে দেখতে পাওয়া যায়
হয়ত কাল পেরলেই শেষ আর নেব ছদ্দবেশ

এইতো কিছু বরফ হিসেব গলছে সময় যাচ্ছে মিশে
অনেক রুমাল কান্না তুমি ভিজবে না
হয়ত আবার পিছুটানে ঢাকছি আকাশ অন্যগানে
উষ্ণ অনেক অনুভুতির আস্তানা

এই ধূসর চুল আজও ভালো লাগে তোমায়
এই ধূসর চুল গেছে সময় অবহেলায়
তবু যদি ঘরে ফেরা যায় এই বেলায়...

somewhere- Dutta vs Dutta


I know there'll be pain everywhere
and i know there'll always be despair
and there always will be fighting for no rhyme or reason
but I know that i'll find you somehwere
there will be someone dying on the road
and there'll be someone carrying all the load
and i know that this whole world will never ever care
but i know that I'll find you somewhere
somewhere in the darkness of defeat
somewhere on a lonely crugged street
somewhere when there's nowhere to turn to and care
yes i know that i'll find u somewhere
somewhere in the shadows there is care
I have seen the love in the eyes that are scared
yes i know that there's a home somewhere inside the hatred
yes I know that i'll find you somewhere....

Kolkata-16 (Anjan Dutta)


এ সন্ধ্যের শহর আমার
যে রাস্তায় নিওন একাকার
এ রাস্তা বড়ই পুরনো
রাস্তায় আমার ছেলেবেলা
এখান থেকে এ স্বপ্ন দেখা
আলো আন্ধারি রেস্তরাঁ

এ কলকাতা ১৬ আনা
এ কলকাতা ১৬ আমার

এখানটাতে এ প্রথম দেখা
আমার প্রথম প্রেমিকা
হাত ধরে হাঁটছে অন্য কে
হটাত বড় হয়ে যাওয়া
যন্ত্রণা ভুলতে শেখা
কান্নাটা গিলতে শেখা
ঘুরে ঘুরে ফিরে এই রাস্তা
ভালবাসা খুজে পাওয়া

এ কলকাতা ১৬ আনা
এ কলকাতা ১৬ আমার

এখনও কতও শনিবার
মুখোমুখি সেই রেস্তরাঁ
আলো আঁধারে আমার
ভালোবাসার হাত ধরা যায়
এখনও রাতের আকাশ লাল এখানে
বন্ধুতের চোখ মাতাল এখানে
বাজানো যায় আমার গীটার

এ কলকাতা ১৬ আনা
এ কলকাতা ১৬ আমার...।।

আমি চাই- Kabir suman


আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে
আমি চাই মহল ফুটবে সৌখিনতার গোলাপ কুঞ্জে।

আমি চাই নেপালি ছেলেটা গিটার হাতে
আমি চাই তার ভাষাতেই গাইতে আসবে কলকাতাতে।

আমি চাই ঝাড়খণ্ডের তীর ধনুকে
আমি চাই ঝুমুর বাজবে ঝুমুর বাজবে তোমার বুকে।

আমি চাই কাশ্মীরে আর শুনবে না কেউ গুলির শব্দ
আমি চাই মানুষের হাতে রাজনিতি হবে ভীষণ জব্দ।

আমি চাই হিন্দু নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু,
আমি চাই বিজেপি নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।

আমি চাই গাছ কাটা হলে শোক সভা হবে বিধান সভায়
আমি চাই প্রতিবাদ হবে রক্ত পলাশে রক্ত জবায়।
আমি চাই পুকুর বুঝালে আকাশ ভাসবে চোখের জ্বলে
আমি চাই সব্বাই যেন দিন বদলের পদ্য বলে।

আমি চাই মন্ত্রীরা প্রেম করুন সকলে নিয়ম করে
আমি চাই বক্তৃতা নয় কবিতা বলুন কণ্ঠ ভরে।
যদি বল চাইছি নেহাত…যদি বল চাইছি নেহাত চাইছি নেহাত স্বর্গ রাজ্য
আমি চাই একদিন হবে একদিন হবে এটা এক রাজ্য।।

অনেক দিন পর -Suman & Anjan


অনেক দিন পর, আবার চেনা মুখ
বন্ধু কি খবর, মুহুর্ত বলুক।
মুহুর্তের টান, মুহুর্তে শরত
নতুন এই গান, মুসাফিরের পথ।
শরত আসে যায়, মেঘের ফাঁকে নীল
এই শহরটায় অতিথি গাঙচিল।
অতিথি ভালবাসা, হাওয়ায় তোলে সুর
আবার ফিরে আসা, আবার ভরপুর।
কেমন আছো বলো, বন্ধু কি খবর
আবার গাই চলো, অনেক দিন পর।